কোচবিহারের খাগড়াবাড়িতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপর হামলার ঘটনার নিন্দা করলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। এই হামলার জেরে কেন্দ্রীয় সরকার যে ক্ষুব্ধ তা স্পষ্ট করে দেন তিনি। ঘটনার জন্য তৃণমূল পরিচালিত সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি।
২০২১ সালে জেপি নাড্ডাকেও আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। তা নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। তবে তারপরও একাধিকবার রাজ্য বিজেপির নেতাদের বিভিন্ন জায়গায় হামলার শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন শুভেন্দুর উপর আক্রমণ। মঙ্গলবার কোচবিহারের পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাক্ষাতের কর্মসূচি ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। অভিযোগ, কোচবিহারে তাঁর কনভয় ঢোকার মুখে খাগড়াবাড়িতে বিরোধী দলনেতার কনভয়ে হামলা চালায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী, সমর্থকরা। গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। সেখানে পুলিশ থাকলেও কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ।
কী বললেন নাড্ডা
ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিজেপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা। তবে এবার মুখ খুললেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। গোটা ঘটনা নিয়ে শুভেন্দুর সঙ্গে কথা বলেছেন দাবি করে তিনি জানান, দোষীদের শাস্তি হওয়া উচিত। নাড্ডা বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপর হামলা চালিয়েছে। এটা ভয়ঙ্কর ঘটনা। সবথেকে আশ্চর্যজনক ঘটনা হল, রাজ্য পুলিশের সামনেই দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে। এর থেকে বোঝা যায়, সেই রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগজনক। এটা কেবল একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির উপর হামলা নয়, গণতন্ত্রের উপরও।'
তারপরই এই ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ি করেন নাড্ডা। এই ঘটনার দায় মমতাকে নিতে হবে, মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, 'আমি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেছি। একটা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নিরাপদ নন, এর থেকেই বোঝা যায় সাধারণ মানুষের কী অবস্থা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এর দায় নিতে হবে। বাংলায় যেভাবে রাজনৈতিক হিংসা বাড়ছে তা যথেষ্ট ভয়ানক।'
কী বলেছিলেন শুভেন্দু?
সেদিন খাগড়াবাড়িতে আক্রমণের মুখে পড়ার পর শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, তাঁকে মেরে ফেলার চক্রান্ত হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছিলেন, 'মেরে ফেলার জন্য হামলা হয়েছে। ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এসপি দ্যুতিমান ভট্টাচার্য, উদয়ন গুহ আক্রমণ করেছেন।' যদিও তৃণমূলের তরফে সেদিন হামলার কথা অস্বীকার করা হয়।