লোকসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর, এবার রাজ্যসভাতেও ধাক্কা খেল বিজেপি। রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদের সংখ্যা ৯০-এর নিচে নেমে এসেছে। এখন সংসদের উচ্চকক্ষে বিজেপির সদস্য রয়েছেন ৮৬ জন। গত শনিবার কেন্দ্রীয় সরকার মনোনীত চার সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ফলে, সেখানে এনডিএ-র এখন সদস্য সংখ্যা রয়েছে ১০১। যা সংখ্যাগরিষ্ঠের তুলনায় অনেক কম। রাজ্যসভায় বর্তমানে ২২৬ জন সদস্য রয়েছেন। ১৯ টি আসন এখনও খালি রয়েছে।
রাজ্যসভার ১৯ আসনের মধ্যে ৪টি জম্মু ও কাশ্মীরের এবং ৪টি মনোনীত সদস্যদের জন্য। বাকি ১১টি আসন রয়েছে অসম, বিহার, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, তেলাঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ত্রিপুরার জন্য। সেই রাজ্যগুলোর প্রতিনিধিরা রাজ্যসভায় জায়গা পাবেন। অনেক সাংসদ লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হওয়ার কারণে ওই আসনগুলো ফাঁকা রয়েছে।
যদিও রাজ্যসভার ভোট নিয়ে এখনও নির্বাচন কমিশন তারিখ ঘোষণা করেনি। রাজ্যসভার বর্তমান সদস্য সংখ্যা ২২৬। যার মধ্যে বিজেপির রয়েছেন ৮৬ জন, ২৬ জন কংগ্রেস এবং ১৩ জন তৃণমূলের। সদস্যদের পদত্যাগের কারণে শূন্য হওয়া ১১টি আসন পূরণের জন্য ভোট হবে। তবে তার তারিখ ঘোষণা করে কমিশন।
যাঁরা অবসর নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাকেশ সিনহা, রাম শাকাল, সোনাল মানসিংহ এবং মহেশ জেঠমালানি। রাজ্যসভায় মনোনীত হওয়ার পর, এই নেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিকে সমর্থন করেছিলেন।
তবে এই সদস্যদের অবসর নেওয়ার পরে, বিজেপি সংসদে গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এবার লোকসভার পাশাপাশি রাজ্যসভাতেও NDA ছাড়া অন্যদলগুলির সাংসদদের উপর নির্ভর করতে হবে শাসক শিবিরকে। এই তালিকায় রয়েছে প্রাক্তন NDA শরিক AIADMK, অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডির YSRC।
প্রসঙ্গত, সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় সর্বাধিক ২৫০ জন সদস্য থাকতে পারেন। এর মধ্যে ২৩৮ জন সদস্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধি হতে পারেন। বাকি ১২ জন সদস্য দেশের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত হতে পারেন।