Advertisement

হোয়াইট ফাঙ্গাস সাধারণ সংক্রমণ, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস অনেক বেশ ক্ষতিকর, মত চিকিৎসকদের

দেশে হোয়াইট ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম ঘটনা জানা যায় বিহারের পাটনার এক সরকারি হাসপাতাল থেকে। পাটনা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাস (পিএমসিএইচ) অবশ্য সে কথা মানতে চায়নি।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত এক রোগীর চিকিৎসা চলছে হায়দ্রাবাদে। ছবি: পিটিআই
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 22 May 2021,
  • अपडेटेड 7:49 AM IST
  • ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের পর এবার দেশে হোয়াইট ফাঙ্গাসের সংক্রমণের কথা শোনা যাচ্ছে
  • কতটা ক্ষতিকারক এটি?
  • বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন, জেনে নেওয়া যাক।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের পর এবার দেশে হোয়াইট ফাঙ্গাসের সংক্রমণের কথা শোনা যাচ্ছে। কতটা ক্ষতিকারক এটি? আক্রান্ত হয় কী করে? দেখে নেওয়া যাক এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য। বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন, জেনে নেওয়া যাক।

কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে এ ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিসকে মহামারী ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে, দেশে হোয়াইট ফাঙ্গাসের সংক্রমণের কথা জানা যাচ্ছে।

দেশে হোয়াইট ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম ঘটনা জানা যায় বিহারের পাটনার এক সরকারি হাসপাতাল থেকে। পাটনা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাস (পিএমসিএইচ) অবশ্য সে কথা মানতে চায়নি।

এরপর এবার উত্তরপ্রদেশ থেকে একই কথা জানা গিয়েছে। অর্থাৎ, হোয়াইট ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। 

সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ ঈশ্বর গিলাডা জানান, হোয়াইট ফাঙ্গাসের ব্যাপারে মানুষরের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে। এটা একটা মিথের মতো। ক্যানডিডা নামে এক ধরনের ছত্রাক বা ফাঙ্গাস থেকে এই সংক্রমণ হয়। যার নাম ক্যানডিডিয়াসিস। এটা খুবই সাধারণ সংক্রমণ।

বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, হোয়াইট ফাঙ্গাস ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের থেকে আরও বেশি ক্ষতিকর, এমন কোনও তথ্য তাদের জানা নেই।

বোম্বে হাসপাতালের পালমনোলজিস্ট কপিল সালগিয়া ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসা করে আসছেন। তিনি জানান, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস অনেক বেশি আক্রমণাত্মক। সাইনাস, চোখ, মাথার মারাত্মক ক্ষতি করে এটি। অস্ত্রোপচারের দরকার পড়ে।

তিনি বলেন, মিউকরমাইকোসিস অনেক বেশি ক্ষতিকর। কারণ মানব শরীরে এর অস্বিত্ব দেখা যায় না। আর আমাদের কাছে এই ধরনের রোগী বেশি আসেনও না।

তিনি জানাচ্ছেন, তবে ক্যান্ডিডায়াসিস খুব সহজে ধরে ফেলা যায়। আর খুব সহজে এই রোগ সারিয়ে ফেলা যায়। এটায় জীবনহানির সম্ভাবনা নেই। তবে ভুল চিকিৎসা বা তা শুরু করতে অনেক দেরি হয়ে গেলে আলাদা ব্য়াপার। সেক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

Advertisement

তিনি আরও জানান, কোভিডে কোনও রোগী প্রবল ভাবে আক্রান্ত হলে তখন স্টেরডেপ প্রয়োগ করা হয়। অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিবায়োটিক দেওযার পাশাপাশি দেওয়া হয় স্টেরয়েডও। ছত্রাকের সংক্রমণ নির্ভর করে কতটা স্টেরয়েড দেওয়া হচ্ছে এবং কত দিন ধরে তা দেওয়া হচ্ছে। স্টেরয়েড অনাক্রম্যতা কমিয়ে দিতে পারে।

এদিকে, ভারতে একা করোনায় রক্ষে নেই। তার দোসর জুটেছে নয়া রোগ। নাম মিউকরমাইকোসিস। দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বেড়ে চলেছে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। দিল্লিতেও একই অবস্থা।

মিউকরমাইকোসিস রোগের চিকিৎসায় লাগে একটি ওষুধ। অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধটির নাম 'অ্যাম্ফোটেরিসিন বি'। যার চাহিদা গত কয়েক সপ্তাহে প্রবল বেড়ে গিয়েছে। আর তাই ওষুধ নিয়ে হাহাকার পড়ে গিয়েছে বললে ভুল বলা হবে না।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement