'আমি এখনও ঘটনাটি ভুলতে পারিনি। স্মৃতি তাজা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসের পরে আমি যখন বাসে উঠছিলাম, কেউ চিৎকার করে বলছিল বাহ, এত বড়...।' ঘটনাটির কথা বলছিলেন জসপ্রীত (নাম পরিবর্তিত)। হতবাক হয়ে, জসপ্রীত কথাটা এসেছে তা বোঝার জন্য পিছনে ফিরে তাকাল, কিন্তু সে তাকে খুঁজে পায়নি। তিনি শুধু জানতেন যে এটি একজন পুরুষের করা তাঁর স্তন নিয়ে মন্তব্য।
দুর্ভাগ্যবশত ১৮ বছর বয়সী কিশোরীর কাছে ক্রমশ বিষয়টি গা সওয়া হয়ে উঠেছিল। অবিরাম তাকিয়ে থাকা এবং মন্তব্যে ক্লান্ত জসপ্রীত তাঁর স্তনের হাইপারট্রফির সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি বলেছেন,'অস্ত্রোপচারের পরে, আমি ৪২এইচ থেকে ৪০বি-তে গিয়েছিলাম। এটি একটি বিশাল স্বস্তি ছিল।
জসপ্রীত একা নন। স্তন হাইপারট্রফি হাজার হাজার ভারতীয় মহিলাকে প্রভাবিত করছে। এবং আজ তাদের অনেকেরই ভারী ও বড় স্তনের জন্য অস্ত্রোপচার করছেন। ওপরের ঘটনা ও বিষয়টি জানিয়েছেন, নয়াদিল্লির ডিভাইন কসমেটিক সার্জারির প্লাস্টিক সার্জন ডাঃ অমিত গুপ্ত। তাঁর দাবি, 'প্রতি বছর স্তন কমানোর সার্জারির পরিমাণ ১০০% বৃদ্ধি পেয়েছে।'
কিন্তু হঠাৎ করে অস্ত্রোপচারের সংখ্যা বাড়ানো কেন?
এখন বিভিন্ন কারণে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, এই অস্ত্রোপচার বাড়ার সঙ্গত কারণ রয়েছে।
১. 'পশ্চিমের প্রভাব'
ভারতীয়রা ঐতিহ্যগতভাবে শাড়ি এবং কুর্তার জন্য পরিচিত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশী পোশাকে অভ্যস্ত হচ্ছে মহিলারা। টি-শার্ট-সহ আঁটসাঁট পোশাকে বড় স্তনে মহিলাদের ঘাড়ে ব্যথা হয় বলে অনেকেই জানিয়েছেন বলে দাবি ডাঃ গুপ্তার৷
২. 'নারীরা আরও স্বাধীন হচ্ছে'
ডাঃ গুপ্তা বলেছেন যে, এক দশক আগে মহিলারা তাদের বাবা-মা বা তাদের স্বামীর উপর বেশি নির্ভরশীল ছিলেন, তাই অস্ত্রোপচার করা নিয়ে দ্বিধা ছিল। নারীরা এখন অনেক বেশি স্বাধীন। এখন একটি 25 বছর বয়সী মেয়ে অস্ত্রোপচারের জন্য যথেষ্ট উপার্জন করছে। এই নারীদের অধিকাংশই স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়।
৩. আরও আত্মবিশ্বাসী বোধ করার একটি উপায়
অনেকেই এই অস্ত্রপচারটি করার পর আনন্দে কেঁদেছেন। কারণ বহু মানুষের দৃষ্টি শুধু ওই বড় ও ভারী স্তনের দিকে নিবদ্ধ থাকব বলে অভিজ্ঞতায় মহিলারা জানিয়েছেন।