আফগানিস্তান দখলের পর তালিবানদের দলে যোগ দিতে উৎসাহিত হচ্ছে বাংলাদেশের কিছু যুবকেরা। সেখানকার জঙ্গি জেহাদি শক্তিগুলি তালিবানদের সঙ্গে যোগ দিতে পারে বলে মনে করছে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে রয়েছে সীমান্তবাহিনীর কড়া প্রহরা। তালিবানে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করার মতো এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি, বলে জানান সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর ডিআইজি এস এস গুলেরিয়া।
গুলেরিয়ার আরও বক্তব্য, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের থেকে খবর পাওয়া গেছে কিছু জঙ্গি মনোভাবাপন্ন যুবক আফগানিস্তান যাওয়ার উদ্দেশে ভারতের দিকে রওনা হয়েছে। তালিবানও তাদের দলে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এদিন ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলামও জানান,"গত কয়েকদিনে বেশকিছু যুবক তালিবানে যোগ দিতে চেয়ে আফগানিস্তানের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। ইতিমধ্যে এমন কিছু বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী ভারতের নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন।" ঠিক কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা তিনি জানেন না বলেই জানান।
আফগানিস্তানে তালিবানদের ক্ষমতা দখলের পর নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ সরকারও। সমস্ত গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। একজন বিএসএফ কর্মকর্তার মতে, তালিবানরা কাবুল দখল করে নিয়েছে এবং তারা শক্তিশালী আমেরিকানদের পরাজিত করেছে বলে বাংলাদেশী মৌলবাদী সংগঠনগুলো পুনরুজ্জীবিত হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে জঙ্গি দমনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। তবে এটাও সত্য যে তারা তলে তলে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিল।
জাল নথি তৈরি করে ভারতে অনুপ্রবেশ এখন খুবই সহজ। এই দুর্নীতিকে কাজে লাগিয়েই ভারতে অনুপ্রবেশ করে আসছে জঙ্গি সদস্যরা। এবিষয়ে বাংলার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। উল্লেখ্য, বছর ২০ আগে কিছু জঙ্গি মনোভাবাপন্নদের আফগানিস্তানে তালিবানে যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল। তাই এবার আরও কড়া ভারত-বাংলাদেশ সরকার।