চিত্রকূটে তুলসী পীঠে এক বিশেষ আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠানে দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী ও তাঁর স্ত্রী উপস্থিত হয়ে পদ্মবিভূষণ জগদ্গুরু রামভদ্রাচার্যের কাছ থেকে গুরু দীক্ষা গ্রহণ করেন। তবে এই আধ্যাত্মিক মুহূর্তটি আরও চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে যখন জগদ্গুরু গুরুদক্ষিণা হিসেবে সেনাপ্রধানের কাছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) দাবি করেন।
জগদ্গুরু বলেন, 'লঙ্কা যাত্রার পূর্বে মা সীতা বীর হনুমানকে যে মন্ত্র দিয়েছিলেন, আমি সেই মন্ত্রেই সেনাপ্রধানকে দীক্ষা দিয়েছি। আর গুরুদক্ষিণা হিসেবে আমি PoK চেয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, এই দক্ষিণা আমি পাবই।'
এই মন্তব্য শুধু আধ্যাত্মিক নয়, রাজনৈতিক এবং কৌশলগত ভাবেও তাত্পর্যপূর্ণ। সেনাপ্রধানকে ‘বিজয়ী সেনাপতি’ বলে অভিহিত করে জগদ্গুরু বলেন, 'পাক অধিকৃত কাশ্মীর আমাদের প্রাপ্য। এটি ফিরে আসা শুধু সময়ের অপেক্ষা।' সেইসঙ্গে পাকিস্তানকে আক্রমণ করে বলেন, 'কুকুরের লেজ সোজা হয় না। যদি আবার হামলা করে, তাহলে তারা মানচিত্র থেকেই মুছে যাবে।'
জগদ্গুরুর এই মন্তব্য মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। অনেকে এটিকে সেনাবাহিনী ও ধর্মীয় নেতৃত্বের মধ্যে একতা এবং দেশপ্রেমের প্রতীক হিসেবে দেখছেন।
এই অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ভাষণ দেন এবং ‘ভেটেরান অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেন চারজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে। পরে সদগুরু সেবা সংঘ ট্রাস্টে পৌঁছে পদ্মশ্রী ড. বি.কে. জৈনের সঙ্গেও দেখা করেন।
এই বৈঠক এমন এক সময়ে ঘটল যখন কেন্দ্র সরকার এবং সেনা নেতৃত্ব PoK নিয়ে আগ্রাসী অবস্থান নিচ্ছে। জগদ্গুরুর বার্তা সেই রাষ্ট্রীয় অবস্থানের এক আধ্যাত্মিক প্রতিধ্বনি হয়ে উঠেছে—দেশের প্রতিটি ইঞ্চি ফিরে পাওয়ার অঙ্গীকার।