Advertisement

Delhi High Court : স্বনির্ভর-শিক্ষিত মহিলা স্বামীর কাছে খোরপোশ চাইতে পারে না, পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের

কর্মক্ষম বা রোজগারে সক্ষম একজন মহিলা স্বামীর কাছে ভরণপোষণ দাবি করতে পারেন না। যে মহিলা শিক্ষিত, স্বনির্ভর, কাজ করতে পারেন বা অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর স্বামীর কাছে খোরপোশ পাওয়ার জন্য বেকার থাকা অনুচিত। পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের।

Representative ImageRepresentative Image
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 20 Mar 2025,
  • अपडेटेड 8:35 PM IST
  • কর্মক্ষম বা রোজগারে সক্ষম একজন মহিলা স্বামীর কাছে ভরণপোষণ দাবি করতে পারেন না
  • যে মহিলা শিক্ষিত, স্বনির্ভর, কাজ করতে পারেন বা অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর স্বামীর কাছে খোরপোশ পাওয়ার জন্য বেকার থাকা অনুচিত
  • পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের

কর্মক্ষম বা রোজগারে সক্ষম একজন মহিলা স্বামীর কাছে ভরণপোষণ দাবি করতে পারেন না। যে মহিলা শিক্ষিত, স্বনির্ভর, কাজ করতে পারেন বা অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর স্বামীর কাছে খোরপোশ পাওয়ার জন্য বেকার থাকা অনুচিত। একটি মামলায় পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের। 

বৃহস্পতিবার একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি চন্দ্র ধরি সিং এই মন্তব্য করেন। দিল্লি ফৌজদারি আইনের (CRPC) ১২৫ নম্বর ধারার অধীনে এই মামলা করেছিলেন এক মহিলা। নিম্ন আদালতে মহিলার প্রাক্তন স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণের আর্জি নাকচ হয়ে যায়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মহিলা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তবে সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। 

দিল্লি হাইকোর্টে দায়ের হওয়া আবেদন অনুসারে, ওই দম্পতি ২০১৯ সালে বিয়ে করেন। তারপর সিঙ্গাপুরে চলে যান। স্ত্রী অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর উপর অত্যাচার করতেন, সেই কারণে তিনি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতে ফিরে আসেন। 

মহিলার আরও অভিযোগ, ভারতে ফিরে আসার জন্য তাঁর স্বামী তাঁকে টাকা দেননি। তাই গয়না এবং মূল্যবান জিনিসপত্র বিক্রি করতে হয়। তিনি তাঁর মামার বাড়িতে থাকতে শুরু করেছিলেন। ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি দুবাইতে কর্মরত ছিলেন।

এর আগে নিম্ন আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, ওই মহিলার চাকরি করা উচিত। তাহলে তিনি স্বনির্ভর থাকতে পারবেন। তবে সেই মহিলা আদালতের পর্যবেক্ষণে কর্ণপাত করেননি। তিনি ভরণপোষণ দাবি করেছিলেন। এরই মধ্যে সেই মহিলার স্বামী এই ভরণপোষণের আবেদনের বিরোধিতা করেন। তাঁর যুক্তি ছিল,  স্ত্রী সুশিক্ষিত এবং সক্ষম। তারপরও চাকরি করছেন না। শুধুমাত্র বেকার বলে তিনি ভরণপোষণ দাবি করতে পারেন না। 

আদেলতে ওই ব্যক্তি আরও জানান, তাঁর স্ত্রী মাসে তিন লাখেরও বেশি টাকা ভরণপোষণ বাবদ দাবি করেছেন। যা অনৈতিক। ভারতবর্ষে বসবাস করার ক্ষেত্রে একজনের এত টাকা খরচ হয় না। শুনানিতে দিল্লি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, মহিলার উচ্চশিক্ষা এবং সক্ষম হওয়ার বিষয়টিকে উপেক্ষা করা যায়। তিনি বেকার থেকে ভুল করেছেন। নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী তাঁর কাজ করা উচিত ছিল। 

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement