Advertisement

Caste Census 2025: জাতিগণনায় দেখা হবে মুসলিমদেরও জাত, ৩ মাসেই শুরু সমীক্ষা

Caste Census 2025: কেন্দ্রীয় সরকার দেশে জাতিগত জনগণনার ঘোষণা করেছে। সরকারের ঘোষণার পর, আলোচনা শুরু হয়েছে জাতিগত জনগণনায় বর্ণের কলাম যোগ করা হবে কিনা। উপ-বর্ণ বা বংশের জন্যও একটি কলাম থাকবে কিনা। জাতিগত জনগণনাতে কোন কোন বিষয়ের উপর তথ্য সংগ্রহ করা হবে? মুসলিম সম্প্রদায়ের জাতও কি গণনা করা হবে? জানা যাচ্ছে, জাতিগত জনগণনার সময় ধর্মের পাশাপাশি বর্ণের জন্য একটি কলাম থাকবে। এটা সবার জন্য হবে।

জাতিগত জনগণনাজাতিগত জনগণনা
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 02 May 2025,
  • अपडेटेड 12:57 PM IST

Caste Census 2025: কেন্দ্রীয় সরকার দেশে জাতিগত জনগণনার ঘোষণা করেছে। সরকারের ঘোষণার পর, আলোচনা শুরু হয়েছে জাতিগত জনগণনায় বর্ণের কলাম যোগ করা হবে কিনা। উপ-বর্ণ বা বংশের জন্যও একটি কলাম থাকবে কিনা। জাতিগত জনগণনাতে কোন কোন বিষয়ের উপর তথ্য সংগ্রহ করা হবে? মুসলিম সম্প্রদায়ের জাতও কি গণনা করা হবে? জানা যাচ্ছে, জাতিগত জনগণনার সময় ধর্মের পাশাপাশি বর্ণের জন্য একটি কলাম থাকবে। এটা সবার জন্য হবে।

সূত্র অনুযায়ী, মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেক বর্ণ রয়েছে। এই তথ্যও জাতিগত জনগণনায় প্রকাশ পাবে। সূত্র আরও বলছে, সরকার মুসলিম সংরক্ষণ সম্পর্কিত কোনও দাবি মেনে নেবে না। এর পিছনে একমাত্র যুক্তি ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ অনুমোদিত নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বেশ কয়েকবার বলেছেন, সংবিধানে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের কোনও বিধান নেই। যতদিন পর্যন্ত কোনও বিজেপি সাংসদ সংসদে থাকবেন, ততদিন পর্যন্ত ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের অনুমতি দেওয়া হবে না।

৩ মাসের মধ্যে জাতিগত জনগণনা শুরু
সূত্র মতে, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে জাতিগত জনগণনার কাজ শুরু হবে। এ জন্য সরকার শীঘ্রই কর্মকর্তাদের ডেপুটেশনে মোতায়েনের প্রক্রিয়া শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতিগত জনগণনা সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর, পনেরো দিনের মধ্যে সমস্ত কাজ সম্পন্ন হবে। এবার জাতিগত জনগণনা ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে। এই জাতিগত জনগণনায় আধার, বায়োমেট্রিক এবং এআই ব্যবহার করা হবে। তবে, জনগণনার তথ্য বিশ্লেষণ করতে এক বা দু'বছর সময় লাগতে পারে। জাতিগত জনগণনার তথ্য বিশ্লেষণ সম্পন্ন হওয়ার পর, এর সম্পূর্ণ তথ্য একটি প্রতিবেদন আকারে উপস্থাপন করা হবে।

২০২৯ সালের নির্বাচনে নারী সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা
সূত্র বলছে, সরকারের লক্ষ্য হল ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচন নারী সংরক্ষণের মাধ্যমে পরিচালনা করা। লোকসভা নির্বাচনে নারী সংরক্ষণ বাস্তবায়নের জন্য সীমানা নির্ধারণ জরুরি। সীমানা নির্ধারণের জন্য জাতিগত জনগণনার তথ্য থাকা জরুরি। এই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার জনগণনার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী বছরের মধ্যে জাতিগত জনগণনা সম্পন্ন হওয়ার পর সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু হবে। সীমানা নির্ধারণের জন্য একটি কমিশন গঠন করা হবে। কমিশনের টিম রাজ্যগুলি পরিদর্শন করবে। প্রতিবেদন তৈরি করবে।

Advertisement

ওবিসি সংরক্ষণের সীমা বাড়ানোর বিষয়ে বিবেচনা
জাতিগত জনগণনা প্রকাশের পর, সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা শুরু করেছে। সূত্রের খবর, ওবিসিদের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে, সরকারি চাকরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য ২৭ শতাংশ রিজার্ভেশনের সীমা বাড়ানোর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে, বিচারপতি রোহিণী কমিশনের রিপোর্টের উপর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে সরকারি পর্যায়ে কোনও আন্দোলন দেখা যাচ্ছে না। যেখানে কোটার মধ্যেই কোটার কথা বলা হয়েছিল। জাতিগত জনগণনার তথ্য বেরিয়ে আসার পর সরকার এটিও বিবেচনা করতে পারে।

জাতিগত জনগণনা নিয়ে প্রতিটি দলের সঙ্গে কথা বলতে পারে
সরকার বেসরকারি খাতে সংরক্ষণের বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার মেজাজে আছে বলে মনে হচ্ছে। ডঃ মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের সময়ও বেসরকারি খাতে সংরক্ষণের দাবি উত্থাপন হয়েছিল, যার বিরোধিতা করেছিল বেসরকারি খাত। ১৫(৫) ধারাটি ইতিমধ্যেই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। জাতিগত জনগণনার পদ্ধতি সম্পর্কে সকল পক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে। জাতিগত জনগণনার পর, সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লক দলগুলির মধ্যে উত্তর বনাম দক্ষিণ বিতর্কও দেখা দিতে পারে।

Read more!
Advertisement
Advertisement