অবশেষে জাতিগত জনগণনার সম্ভাব্য দিনক্ষণ জানা গেল। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, আগামী ২০২৭ সালের ১ মার্চ থেকে দেশ জুড়ে শুরু হতে পারে জাতিগত জনগণনার প্রক্রিয়া। বিরাট মাপের এই সমীক্ষার জন্য প্রস্তুতির সময়ও ইতিমধ্যেই নির্ধারিত হয়েছে। বিরোধীদের দীর্ঘদিনের এই দাবিতে অবশেষে মান্যতা মোদী সরকারের।
জনগণনা এবং জাতিগত জনগণনার জন্য প্রস্তুতি পর্বেরও ইতিমধ্যেই সম্ভাব্য দিনক্ষণ নির্ধারিত করে ফেলেছে কেন্দ্র সরকার। ২০২৭ সালের ১ মার্চ থেকে শুরু হবে এই প্রক্রিয়া। তবে কত দিনের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে, তা অবশ্যে এখনও প্রকাশ করেনি সরকার।
জানা গিয়েছে, দেশের মধ্যে সর্বপ্রথম জাতিগত জনগণনার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে তিন জায়গায়। তালিকায় জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ এবং উত্তরাখণ্ড। ২০২৬ সালের অক্টোবর মাস থেকেই এই তিন জায়গা কাস্ট সেনসাসের পথে পা বাড়াবে।
মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিশ্চিত করে জানিয়েছিলেন, ক্যাবিনেট কমিটি পরবর্তী জাতিগত জনগণনা সংগঠিত করার অনুমোদন দিয়েছে। এপ্রিল মাসে তিনি বলেছিলেন, 'রাজনৈতিক বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে জাতিগত জনগণনার প্রক্রিয়া শুরু হবে'। এই পদক্ষেপকে সামাজিক এবং আর্থিক ক্ষমতায়ন হিসেবেই উল্লেখ করেছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছিলেন, এই জাতিগত জনগণনা অত্যন্ত স্বচ্ছ ভাবে করা হবে।
একাধিকবার জাতিগত জনগণনার দাবি তুলেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী সহ INDIA জোটের সমস্ত দলের নেতারা। সম্প্রতি কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকে রাজ্যভিত্তিক জাতিগত জনগণনা হয়। ভোক্কালিঙ্গা এবং লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে এই সার্ভে করা হয়।
শেষ জনগণনা হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালে। কিন্তু করোনার উপদ্রবের কারণে তা পিছিয়ে যায়। সে সময়ে তা করা হলে ২০২১ সালের মধ্যে ফাইনাল রিপোর্টও চলে আসত।