Advertisement

Odisha Train Accident: কাটা হাত থেকে কেউ নিচ্ছে সোনার বালা-লাশ থেকে কেউ খুলছে আংটি, বালেশ্বরে লুঠপাট, আজ শুরু CBI তদন্ত

ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)। রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে ১০ সদস্যের সিবিআই দল সোমবার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

বালেশ্বরের দুর্ঘটনাস্থলে CBI দল
Aajtak Bangla
  • বালেশ্বর,
  • 06 Jun 2023,
  • अपडेटेड 12:12 PM IST

ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)। রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে ১০ সদস্যের সিবিআই দল সোমবার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের অধীন খুরদা রোড ডিভিশনের ডিআরএম রিঙ্কেশ রায় বলেছেন যে তিনি যে তথ্য পেয়েছেন তা অনুসারে বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনার সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে বিস্তারিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।

রবিবার রেল বোর্ড সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করে।  এর আগে রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার শৈলেশ কুমার পাঠক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বহনাগা বাজার রেলওয়ে স্টেশনের কন্ট্রোল রুম, সিগন্যাল রুম ও সিগন্যাল পয়েন্ট পরিদর্শন করেন। গত ৩ জুন, বালেশ্বরে সরকারি রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়ে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং রেলওয়ে আইনের বিভিন্ন ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

আহত তিনজনের মৃত্যুর পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭৮ হয়েছে
সোমবার তিনজন আহতের মৃত্যুর পর ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনায় সরকারি মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭৮ এ দাঁড়িয়েছে বলে রেলওয়ে জানিয়েছে। তবে, ওড়িশা সরকারের পরিসংখ্যান অনুসারে, মৃতের সংখ্যা এখনও ২৭৫-এ দাঁড়িয়েছে। খুরদা রোড ডিভিশনের ডিআরএম রিঙ্কেশ রায় জানান, ২ জুন তিনটি ট্রেনের সংঘর্ষে ২৭৮ জন মারা যান এবং ১১০০ জন আহত হন।  দুর্ঘটনার পরের দিন মৃতের সংখ্যা ২৮৮ হিসাবে রিপোর্ট করা হয়েছিল, তবে ওড়িশা সরকার রবিবার এই সংখ্যাটিকে ২৭৫-এ সংশোধন করেছে। কিছু মৃতদেহ দুবার গণনা করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন করে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেছেন যে বাংলায় ৬১ জন দুর্ঘটনায় মারা গেছে এবং ১৮২ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে।

২৭৮ টি মৃতদেহের মধ্যে ১৭৭টি শনাক্ত করা হয়েছে।
ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও ২০০ জনের  চিকিৎসা চলছে। ২৭৮টি দেহের  মধ্যে ১৭৭টি শনাক্ত হয়েছে এবং ১০১টি দেহ এখনো শনাক্ত করা যায়নি এবং এসব দেহ  ছয়টি ভিন্ন হাসপাতালে রাখা হয়েছে।  রেলওয়ে নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানের জন্য ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, বিহার, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে লোকদের মোতায়েন করেছে। রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, মরদেহগুলো বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সংরক্ষণ করা হবে। 

Advertisement

ট্রেন দুর্ঘটনায় বেওয়ারিশ দেহগুলির অস্থি গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হবে।
দাবীহীন মৃতদেহকে দাহ করার পর রাখা কলসটি বৈদিক রীতিতে নিমজ্জিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হরিদ্বারের কঙ্খল সতীঘাটে ১০০ কেজি দুধের স্রোতে বৈদিক আচার-অনুষ্ঠানে অস্থি বিসর্জন করা হবে। শ্রী দেবস্থান সেবা কমিটির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

চলছে লুঠপাট
এখনও লাইনের ধারে পড়ে রয়েছে ট্রেনের যাত্রীদের ব্যবহৃত জিনিস পত্র। লাইনের ধারে রয়ে গিয়েছে অভিশপ্ত কামরা গুলো। যারা প্রাণে বঁচে গিয়েছে তাদের সেই আতঙ্ক এখনও তারা করে বেরাছে। এরমধ্যেই লুঠপাটের অভিযোগও উঠেছে। প্রাণে বাঁচা যাত্রীদের অনেকেই অভিযোগ,  শুক্রবারের দুর্ঘটনার পর যাত্রীরা যখন প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত, তখনই কামরায় চলছিল চুরি। দুর্ঘটনার পর অনেকেই তাঁদের প্রয়োজনীয় জিনিস খুঁজে পাননি। এলোপাথারি ঝাকুনিকে হারিয়ে এদিক ওদিক চলে গিয়েছে বেশিরভাগেরই জিনিসপত্র। এরমধ্যেই চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর আগে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনাতেও এমন ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল।  মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে নিজেদের কার্যসিদ্ধি করেন একদল অসাধু মানুষ। 
 

 
 

 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement