খারিফ মরশুম প্রায় শেষের মুখে। আর কয়েকদিন পর থেকেই শুরু হয়ে যাবে রবি মরশুম ও রবি মরশুমের ফসল বোনার কাজ। এই মরশুমে বাংলায় মূলত নানা শীতকালীন সবজি, সর্ষে ও আলুর চাষ হয়। এমন সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে সারা দেশের কৃষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এবার এই নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার সারের উপর কৃষকদের দেওয়া ভর্তুকির পরিমাণ বাড়িয়ে ২২ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইউরিয়ার দাম বাড়ানো হবে না
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম বাড়ায় আমাদের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। সরকার রবি মরশুমের জন্য সারের ওপর ২২ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা ভর্তুকি অনুমোদন করেছে। তিনি আরও বলেন, ইউরিয়ার দাম বাড়ানো হবে না। এর আগে সরকার রবি ফসলের এমএসপিও বাড়িয়েছিল। NBS-এর অধীনে, কৃষকরা সাশ্রয়ী মূল্যে সার পেতে থাকবেন।
অনুরাগ সিং ঠাকুর বলেছেন যে রবি মরশুমের জন্য ভর্তুকি ১ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলবে। প্রতি কেজি নাইট্রোজেনে ৪৭.২ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হবে। প্রতি কেজি ফসফেটে ২০.৮২ টাকা ভর্তুকি পাবে। প্রতি কেজি পটাশে ভর্তুকি দেওয়া হবে ২.৩৮ টাকা। সালফারে ভর্তুকি হবে প্রতি কেজিতে ১.৮৯ টাকা।
সম্প্রতি রবি ফসলের MSP বেড়েছে
কেন্দ্রীয় সরকার রবি মরশুমের ফসলের MSP ঘোষণা করেছিল। এই অনুসারে, ১ এপ্রিল থেকে গমের সরকারি মূল্য হবে ২২৭৫ টাকা প্রতি কুইন্টাল। এছাড়া, কুইন্টাল প্রতি যবের দাম হবে ১৮৫০ টাকা, ছোলার দাম হবে ৫৪৪০ টাকা, মসুর ডালের দাম হবে ৬৪২৫ টাকা, সর্ষের দাম হবে ৫৬৫০ টাকা।
কোন ফসলে, কতটা বাড়ল?
MSP-তে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি করা হয়েছে মুসুর ডালে, প্রতি কুইন্টালে ৪২৫ টাকা। এরপর প্রতি কুইন্টাল সর্ষের জন্য ২০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। গমে কুইন্টাল প্রতি ১৫০ টাকা সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও যবের জন্য ১১৫ টাকা এবং ছোলার জন্য প্রতি কুইন্টালে ১০৫ টাকা সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির অনুমোদন করা হয়েছে।