
দিল্লির লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি হবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই দাবি করলেও হামলার কারণ জানাননি। তবে এবার কেন্দ্রীয় সরকার স্বীকার করে নিল এটা জঙ্গি হামলার ঘটনা। বুধবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক বসে। সেখানেই সরকারের তরফে জানানো হয়, লালকেল্লার ঘটনা নাশকতামূলক। সেজন্য তদন্তও হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যরা ঘটনার জন্য শোকপ্রকাশ করেন। নীরবতা পালন করা হয়। নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি প্রস্তাবও পাশ করা হয়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব প্রস্তাবটি পড়ে শোনান। সেখানে বলা হয়, 'দেশবিরোধী শক্তি ১০ নভেম্বর লালকেল্লার কাছে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এটা সন্ত্রাসবাদী হামলা। হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করা হচ্ছে। আহতদের দ্রুত আরোগ্য লাভ করুন।' ওই প্রস্তাবে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদানকারী চিকিৎসা কর্মীদেরও প্রশংসা করা হয়।
প্রস্তাবে মন্ত্রিসভা এই বিস্ফোরণকে 'কাপুরুষোচিত এবং ঘৃণ্য কাজ' বলে উল্লখ করে। বলা হয়, ভারত সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করে। বিশ্বের অনেক দেশ এই ঘটনায় ভারতের পাশে থেকেছে। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। সংকটের সময় যে সব নিরাপত্তা সংস্থা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং নাগরিকরা সাহস দেখিয়েছেন, কাজে তৎপর হয়েছেন, তাঁদের কথাও আলাদাভাবে উল্লখ করা হয়।
প্রস্তাবে সাফ জানানো হয়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তাতে কোনও গাফিলতি হবে না। বলা হয়, 'তদন্ত অত্যন্ত জরুরি এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকার সবটা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। জাতীয় নিরাপত্তা শেষ কথা। তা রক্ষায় মন্ত্রিসভা অটল ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'
লালকেল্লার সামনের বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দিল্লির হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন অন্তত ২০ জন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভুটান সফর থেকে ফিরে হাসপাতালে গিয়েছিলেন এবং জখমদের সঙ্গে দেখাও করেন। তিনি আগেই জানিয়ছেন, ষড়যন্ত্রকারীদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে।