Advertisement

Bangladesh: 'বৈদেশিক সম্পর্ক শুধুমাত্র কেন্দ্রের অধীনে', বাংলাদেশ-বিতর্কে মমতাকে নাম না করে বার্তা মোদী সরকারের

বাংলাদেশ নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই মন্তব্যের বিরোধিতা জানিয়ে মোদী সরকারকে নোট পাঠিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। বৃহস্পতিবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুলল ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নরেন্দ্র মোদী।
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 25 Jul 2024,
  • अपडेटेड 8:14 PM IST
  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
  • মোদী সরকারকে নোট পাঠিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার।
  • বৃহস্পতিবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুলল ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক।

বাংলাদেশ নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই মন্তব্যের বিরোধিতা জানিয়ে মোদী সরকারকে নোট পাঠিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। বৃহস্পতিবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুলল ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। মমতাকে নাম না করে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হল, 'বৈদেশিক সম্পর্ক শুধুমাত্র কেন্দ্রের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।' একইসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, মমতার মন্তব্যের বিরোধিতা জানিয়ে যে নোট পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকার, তা গ্রহণ করেছে নয়াদিল্লি। 

প্রসঙ্গত, একুশে জুলাইয়ের সভায় বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনা সম্পর্কে মমতা বলেন, 'আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, কোনও অসহায় মানুষ যদি বাংলার দরজা খটখট করেন, আমরা নিশ্চয়ই আশ্রয় দেব। কারণ, এটা রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিয়ম। কেউ শরণার্থী হলে পার্শ্ববর্তী এলাকায় তাঁকে সম্মান দেওয়া হয়। অসমে বোরোদের সঙ্গে এক বার গোলমাল হয়েছিল। আলিপুরদুয়ারে দীর্ঘ দিন ছিলেন শরণার্থীরা। আমিও দেখা করতে গিয়েছিলাম।' 


মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য ঘিরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্য নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও। রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এবার মমতার সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে 'অফিসিয়াল নোট' পাঠাল হাসিনা সরকার। এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেছেন, 'তাঁর (মমতা) প্রতি যথাযথ সম্মান রেখে বলতে চাই, ওঁর সঙ্গে আমাদের নিবিড় সম্পর্ক। ওঁর বক্তব্যে বিভ্রান্তির সুযোগ রয়েছে। আমরা এই নিয়ে ভারত সরকারকে অফিসিয়াল নোট পাঠিয়েছি।'

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক অপ্রাসঙ্গিক কথা বলেছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যে বিষয়ে তাঁর বা রাজ্য প্রশাসনের কোনও অবস্থান নেই, যেমন বাংলাদেশের জন্য দরজা খোলা। এই বিষয়গুলি কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করে। তিনি সব সময় যেমন হাস্যকর কথা বলেন, এটাও নতুন রসিকতা।'

Advertisement

TAGS:
Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement