Advertisement

Census 2027: জনগণনাও এবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে, কবে শুরু ব্যক্তিগত তথ্য এনরোল? জেনে নিন তারিখ

২০২৭ সালের জনগণনাতেও এবার ডিজিটাল পদ্ধতি। ডিজিটালি এনরোল করাতে হবে ব্যক্তিগত তথ্য। সময় মিলবে ১ থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত। কবে থেকে শুরু হচ্ছে জনগণনা প্রক্রিয়ার প্রিটেস্ট পর্ব?

প্রতীরী ছবি প্রতীরী ছবি
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 17 Oct 2025,
  • अपडेटेड 4:10 PM IST
  • জনগণনাতেও এবার ডিজিটাল পদ্ধতি
  • ডিজিটালি এনরোল করাতে হবে ব্যক্তিগত তথ্য
  • সময় মিলবে ১ থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত

২০২৭ সালে হতে চলা জনগণনার প্রস্তুতি শুরু করে দিল কেন্দ্র। তবে অতীতের মতো আর বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করবেন না সরকারি আধিকারিকরা। সমীক্ষা হবে স্বগণনার ভিত্তিতে। এর জন্য ডিজিটালি এনরোল করাতে হবে ব্যক্তিগত তথ্য। সময় মিলবে ১ থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত। 

শুক্রবার এক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক জানান, ২০২৭ সালের জনগণনার প্রথম ধাপের প্রিটেস্ট পর্ব শুরু হবে ১০ নভেম্বর থেকে। সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই প্রিটেস্ট পর্ব চলবে। তাতে করা হবে হাউসলিস্টিং এবং হাউসিং সেনসাস। প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কিছু নির্বাচিত স্যাম্পেল এলাকাগুলিতে হবে এই পর্ব। 

একটি গেজেট নোটিফিকেশনে ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং সেনসাস কমিশনার মৃত্যুঞ্জয় কুমার নারায়ণ বলেন, '১ থেকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে স্বগণনার সুযোগ মিলবে।'

জনগণনার পূর্বপরীক্ষা অর্থাৎ প্রিটেস্টের মূল উদ্দেশ্য হল, ২০২৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ২ ধাপে অনুষ্ঠিত হতে চলা জনগণনার কার্যকারিতা যাচাই করে নেওয়া। এই ২ ধাপ হল, গৃহতালিকা ও আবাসন সূচি (Houselisting and Housing Schedule - HLO) এবং জনগণনা বা জনসংখ্যা গণনা (Population Enumeration - PE)। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই প্রিটেস্টের মাধ্যমে সিস্টেম পরীক্ষা, চ্যালেঞ্জ এবং পূর্ণাঙ্গ জনগণনা শুরুর আগে পদ্ধতিগত উন্নয়ন সম্ভব হবে।

এটি হবে ভারতের প্রথম ডিজিটাল জনগণনা, যেখানে নাগরিকদের জাতি সম্পর্কিত তথ্যও প্রথমবারের মতো অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পরীক্ষামূলক ধাপে প্রশ্নাবলি, তথ্য সংগ্রহ, প্রশিক্ষণ, লজিস্টিকস, মোবাইল অ্যাপ এবং সফটওয়্যারের কার্যকারিতা, সব দিক পরীক্ষা করা হবে যাতে প্রক্রিয়াগত বা প্রযুক্তিগত ত্রুটি আগেই চিহ্নিত ও সংশোধন করা যায়।

প্রথম ধাপ (Houselisting Operation - HLO)-এ প্রতিটি পরিবারের আবাসন অবস্থা, সম্পদ ও সুবিধার তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
দ্বিতীয় ধাপ (Population Enumeration - PE)-এ প্রতিটি পরিবারের প্রত্যেক ব্যক্তির জনসংখ্যাগত, সামাজিক-অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং অন্যান্য বিবরণ নথিভুক্ত করা হবে। সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, জনগণনার প্রক্রিয়া ২০২৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে।

Advertisement

ভারতের বেশিরভাগ অঞ্চলের জন্য জনগণনার রেফারেন্স তারিখ হবে ১ মার্চ ২০২৭, আর লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচলপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের জন্য এটি হবে ১ অক্টোবর ২০২৬।

এই বিশাল তথ্য সংগ্রহ অভিযানে প্রায় ৩৪ লক্ষ গণনাকারী ও তদারককারী এবং প্রায় ১.৩ লক্ষ কর্মকর্তা অংশ নেবেন। এটি হবে ভারতের ১৬তম জনগণনা এবং স্বাধীনতার পর অষ্টম। সরকারের জনগণনা পরিচালনার ঘোষণা সম্পর্কিত সরকারি গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ১৬ জুন, ২০২৫ তারিখে।

শেষবার জনগণনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১১ সালে, আর ২০২১ সালের জনগণনা কোভিড-১৯ মহামারির কারণে স্থগিত হয়েছিল। ২০২৭ সালের জনগণনা হবে ভারতের অন্যতম সর্বাধিক বিস্তৃত ও প্রযুক্তিনির্ভর তথ্য সংগ্রহ অভিযান। যার মাধ্যমে দেশের জনসংখ্যা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোর একটি বিস্তারিত চিত্র সামনে আসবে। 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement