Cervical Cancer, HPV Vaccine: ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (NTGI) প্রধান ডাঃ এন কে অরোরা মঙ্গলবার বলেছেন যে, রোগটি প্রাথমিকভাবে নির্ণয় করা হলে সার্ভিকাল ক্যান্সার বা জরায়ু মুখের ক্যান্সার সারিয়ে তোলা যায়। NTAGI প্রধান আরও বলেন যে, ৩৫ বছর বয়সের পরে সার্ভিকাল ক্যান্সার সনাক্ত করার জন্য স্ক্রীনিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই স্ক্রীনিংকে একটি বিশেষ অভিযান হিসাবে শুরু করা দরকার। কারণ, ভারতে সার্ভিকাল ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি।
ডাঃ এন কে অরোরা বলেন, "হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (HPV) ভ্যাকসিন দিয়ে সার্ভিকাল ক্যান্সার নিরাময় করা যায়। আমরা আশা করি ভারত শীঘ্রই একটি জাতীয় কর্মসূচিতে ৯-১৪ বছর বয়সী মেয়েদের জন্য HPV ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে সক্ষম হবে।"
তিনি জানান, ৩৫ বছর বয়সের পরে সার্ভিকাল ক্যান্সার সনাক্ত করতে স্ক্রীনিং গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিক রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে পিএইচসি-তে করা যায়। বিশ্বব্যাপী সার্ভিকাল ক্যান্সারের কারণে যত মৃত্যু হয়, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় ভারতে। ভারতে বছরে প্রায় ৮০,০০০ মহিলা আক্রান্ত হন সার্ভিকাল ক্যান্সারে।
ডাঃ পুনম ক্ষেত্রপাল সিং, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রিজিওনাল ডিরেক্টর, সম্প্রতি বলেছেন যে, ভারত শীঘ্রই জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসাবে জরায়ুর ক্যান্সার নির্মূল করতে হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (HPV) ভ্যাকসিনের প্রয়োগ চালু করবে।
তিনি বলেন, "এইচপিভির বিরুদ্ধে মেয়েদের টিকা, স্ক্রিনিং এবং ক্যান্সারের ক্ষতগুলির চিকিৎসা এবং সনাক্তকরণের জন্য উন্নত ব্যবস্থা থাকা জরুরি। এর জন্য কম খরচে জরায়ুর ক্যান্সারকে জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসাবে নির্মূল করার জন্য জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োগ করা উচিত।"
এ পর্যন্ত, ভুটান, মালদ্বীপ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড সার্ভিকাল ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য এইচপিভি ভ্যাকসিন চালু করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) রিজিওনাল ডিরেক্টর বলেন, বাংলাদেশ, ভারতও শীঘ্রই সার্ভিকাল ক্যান্সারের ভ্যাকসিন চালু করবে।
বিশ্বব্যাপী, জরায়ু মুখের ক্যান্সার বা সার্ভিকাল ক্যান্সারে ২০২০ সালে আনুমানিক ৬,০৪,০০০ নতুন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩,৪২,০০০ জন মারা গেছেন, যার মধ্যে ৩২-৩৪ শতাংশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির বাসিন্দা। ভারতে হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (HPV) ভ্যাকসিন দিয়ে সার্ভিকাল ক্যান্সার নিরাময়ের অভিযান সরকারি ভাবে শুরু হলে আগামী দিনে এই সংখ্যাটা অনেকটাই কমিয়ে আনা যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।