ঝাড়খণ্ডে নতুন সরকার গঠন নিয়ে সাসপেন্স রয়েই গেল। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা বিধায়ক দলের নেতা চম্পাই সোরেন আজ সন্ধ্যায় আবারও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং ৪৩ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলে দাবি করেছেন। যদিও তাকে রাজ্যপালের তরফে শপথ নিয়ে কিছু বলা হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, শীঘ্রই নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। ইতিমধ্যে, দলের পক্ষ থেকে ৪৩ জন বিধায়কের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর চম্পাই সোরেন বলেন, প্রায় ২২ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও নতুন সরকারের শপথ গ্রহণের বিষয়ে রাজ্যপাল কিছু বলেননি।
রাজ্যপাল বলেছেন যে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু হবে - চম্পাই সোরেন
ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণনের সঙ্গে দেখা করার পর, জেএমএম বিধানসভা দলের নেতা চম্পাই সোরেন বলেছেন, 'আমরা দাবি করেছি যে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। তিনি (গভর্নর) বলেছেন যে প্রক্রিয়াটি শীঘ্রই শুরু হবে..."
এর আগে, ঝাড়খণ্ডে চলমান রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে, চম্পাই সোরেন রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণনের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে গিয়েছিলেন। সোরেনের সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক দলের নেতা আলমগীর আলম, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) বিধায়ক সত্যানন্দ ভোক্তা, সিপিআই (এমএল) বিধায়ক বিনোদ সিং এবং বিধায়ক প্রদীপ যাদব।
রাজভবনে প্রবেশের আগে সোরেন বলেছিলেন, "আমরা রাজ্যপালকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরকার গঠনের জন্য আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করব।" রাজ্যপাল রাজ্যের জেএমএম-নেতৃত্বাধীন জোটকে বিকেল ৫.৩০ টায় বৈঠকের জন্য সময় দিয়েছিলেন। হেমন্ত সোরেনকে বুধবার রাতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গ্রেফতার করে মানি লন্ডারিং মামলায় সাত ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরে। এর আগে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। এরপর চম্পাই সোরেন জেএমএম বিধানসভা দলের নেতা নির্বাচিত হন।
বিধায়করা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন
মহাজোটের বিধায়করা বিমানে করে হায়দরাবাদে পাঠান হচ্ছে। ৩৮ জন বিধায়ককে বাসে করে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিধায়কদের দল ভাঙা থেকে বাঁচাতে এই আয়োজন করা হচ্ছে। রাঁচি বিমানবন্দর থেকে একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে হায়দরাবাদের উদ্দেশে রওনা হবেন তারা।
এর আগে, বিধাননসভা দলের নেতা চম্পাই সোরেন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং সরকার গঠনের দাবি করেছিলেন। রাজ্যপাল বিধায়কদের বলেছেন, আগামীকাল তাদের জানানো হবে।