চাঁদের মাটিতে আবারও সালফার ও অন্য উপাদানের উপস্থিতির প্রমাণ পেল চন্দ্রযান-৩-র রোভার প্রজ্ঞান। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো চন্দ্রযান-৩ মিশনের এই সাফল্যের কথা ঘোষণা করেছে। এর আগে প্রজ্ঞানে থাকা লেজার-ইনডুসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ (LIBS) যন্ত্রটি সালফারের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছিল। এবার এলআইবিএস যন্ত্রে থাকা আলফা পার্টিকেল এক্স-রে স্পেকট্রোস্কোপ (এপিএক্সএস) অন্যান্য ক্ষুদ্র উপাদানগুলির সঙ্গে সালফারও শনাক্ত করেছে।
মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স (আগের টুইটার) তে নিয়ে ইসরো লিখেছে, 'রোভারের অপর একটি যন্ত্র এই অঞ্চলে সালফার (এস)-এর উপস্থিতি নিশ্চিত করে, অন্য একটি কৌশলের মাধ্যমে। আলফা পার্টিকেল এক্স-রে স্পেকট্রোস্কোপ (এপিএক্সএস) সালফার শনাক্ত করেছে, সেইসঙ্গে অন্যান্য গৌণ উপাদানও পাওয়া গিয়েছে। চন্দ্রযান-৩-র এই আবিষ্কারটি বিজ্ঞানীদের সালফার (S)-এর উৎসের জন্য নতুন ব্যাখ্যা তৈরি করতে বাধ্য করে। অন্তর্নিহিত?, আগ্নেয়গিরি?, উল্কা?'
অর্থাৎ চন্দ্রযান-৩র এই অনুসন্ধানগুলি বিজ্ঞানীদের মধ্যে কৌতুহলের জন্ম দিয়েছে। চাঁদের গঠন, আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ বা এমনকি উল্কার প্রভাব নিয়ে গবেষণা করার জন্য এই অনুসন্ধান অবশ্যই বিজ্ঞানীদের উৎসাহ দেবে।
২৩ অগাস্ট সন্ধে ৬টা বেজে ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখে চন্দ্রযান-৩-র ল্যান্ডার বিক্রম। তার পেট থেকে বেরিয়ে রোভার প্রজ্ঞান এখন দক্ষিণ মেরুকে আরও ভালভাবে বোঝার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। মিশনটি ইতিমধ্যেই ইতিহাস তৈরি করেছে। কারণ ভারত চাঁদে অবতরণকারী চতুর্থ দেশ এবং প্রথম দেশ হিসেবে দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছেছে। প্রজ্ঞান রোভার এবং বিক্রম ল্যান্ডার তাদের টাচডাউনের পর থেকে এই অঞ্চলে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। যুগান্তকারী এই আবিষ্কারগুলি চাঁদের উৎপত্তি এবং বিবর্তন সম্পর্কে আমাদের বোঝার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখবে।