Advertisement

India Pakistan: 'অপারেশন সিঁদুর'-এর পরেই হঠাত্‍ সুর বদল চিনের, 'বন্ধু' পাকিস্তানের পাশে নেই?

ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ পাকিস্তানের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের ভিতরে সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিতে ভারতীয় বাহিনীর গভীর রাতের বিমান হামলার পর শুধু ইসলামাবাদই নয়, অস্বস্তিতে পড়েছে বেজিং-ও।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 08 May 2025,
  • अपडेटेड 10:39 AM IST
  • ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ পাকিস্তানের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে।
  • পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের ভিতরে সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিতে ভারতীয় বাহিনীর গভীর রাতের বিমান হামলার পর শুধু ইসলামাবাদই নয়, অস্বস্তিতে পড়েছে বেজিং-ও।

ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ পাকিস্তানের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের ভিতরে সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিতে ভারতীয় বাহিনীর গভীর রাতের বিমান হামলার পর শুধু ইসলামাবাদই নয়, অস্বস্তিতে পড়েছে বেজিং-ও। ভারতের এই কড়া পদক্ষেপের পর চিনের বক্তব্যে বদল লক্ষ্য করা যাচ্ছে—যেখানে তারা একদিকে যেমন সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অবস্থান ঘোষণা করেছে, তেমনই ভারতের সামরিক পদক্ষেপ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

কী বলেছে চিন?
চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, 'আমরা বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। ভারত ও পাকিস্তান চিরকাল প্রতিবেশী থাকবে এবং দু’জনেই আমাদের প্রতিবেশী। চিন সন্ত্রাসবাদের সব রকমের বিরোধিতা করে। তবে আমরা উভয় পক্ষকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি এবং এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা রক্ষায় উস্কানিমূলক কোনও পদক্ষেপ না নিতে বলছি।'

তবে চিনের তরফে এটিও বলা হয়েছে যে, 'ভারতের সামরিক পদক্ষেপের কারণে আমরা দুঃখিত।'

চিরাচরিত পাকিস্তানপন্থা থেকে চিনের সরে আসা?
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এর আগে পুলওয়ামা বা বালাকোটের মতো ঘটনার পরেও চিন পাকিস্তানের পাশেই ছিল। কিন্তু এবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর অত্যন্ত পরিকল্পিত ও যৌথ আক্রমণাত্মক অভিযানের পর, চিনের কূটনৈতিক ভাষায় কিছুটা পাল্টা স্বর শোনা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের ক্রমাগত সন্ত্রাসবাদ লালন-পালনের অভিযোগ এবং ভারতের নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণসহ পদক্ষেপ সম্ভবত চিনকেও কিছুটা কৌশলী হতে বাধ্য করেছে।

অপারেশন সিঁদুর: ভারতের কড়া বার্তা
ভারতীয় সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর যৌথভাবে পরিচালিত এই অভিযানে এক রাতে হামলা হয়েছে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মোট ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে। বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, গুলপুর, ভিম্বর, চক আমরু, বাগ, কোটলি, শিয়ালকোট ও মুজাফফরাবাদ— প্রতিটি টার্গেট চিহ্নিত করা হয়েছিল RAW-এর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে।

বাহাওয়ালপুরে ছিল নিষিদ্ধ জইশ-ই-মোহাম্মদের সদর দফতর। মুরিদকে ছিল লস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটি। এইসব স্থানে হাই-প্রিসিশন স্ট্রাইক চালানো হয় যুদ্ধবিমান ও ড্রোনের মাধ্যমে।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর হুঁশিয়ারি
এই অভিযানকে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নাম দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একাধিক বৈঠকে তিনি জানিয়েছিলেন, পহেলগামে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের উপর সন্ত্রাসবাদী হামলা ছিল অত্যন্ত কাপুরুষোচিত। এই হামলায় বহু পুরুষ নিহত হন, যাঁদের স্ত্রীদের জীবন বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। এই প্রেক্ষাপটে সরকার সিদ্ধান্ত নেয়—সন্ত্রাসীদের আর ছাড় নয়।

Advertisement

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও কূটনৈতিক বার্তা
ভারতের কড়া পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মহলে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। যদিও চিন সামান্য ‘দুঃখ’ প্রকাশ করেছে, কিন্তু তাদের ‘সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা’-র বার্তা ভারতের অবস্থানকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করছে বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

 

TAGS:
Read more!
Advertisement
Advertisement