পহেলগাঁও হামলার পর ভারতের সাফ সাফ অভিযোগ ছিল পাকিস্তানের দিকে। দেশজুড়ে যখন ক্ষোভ আর প্রতিশোধের আগুন, তখন চুপিচুপি চিন আর পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক ফোনালাপ হয়ে গেল। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইসাক দারের সঙ্গে কথা বলেন। সেই কথোপকথনে চিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল — পাকিস্তান যা বলেছে, অর্থাৎ, পহেলগাঁও হামলার ‘নিরপেক্ষ তদন্ত’-এর দাবি, তারা তা সমর্থন করছে।
চিনের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যেন উত্তেজনা আর না বাড়ে, শান্তি বজায় রাখার জন্য দুই দেশকেই আহ্বান করা হয়েছে। পাশাপাশি চীন জানিয়ে দিয়েছে, তারা পুরো পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে।
পাকিস্তানের দাবি কী ছিল?
পাকিস্তানের দাবি খুব পরিষ্কার — পাহালগাম হামলার তদন্তে যেন আন্তর্জাতিক কোনও কমিটি নিয়োগ করা হয়। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ সরাসরি বলেছেন, তদন্তে রাশিয়া আর চীনের প্রতিনিধিদেরও রাখা হোক। আর আন্তর্জাতিক তদন্তেই প্রমাণ হবে — ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সত্যি বলছেন নাকি মিথ্যা।
চিন কী বলল?
চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ দমনে যে সমস্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চীন তার পুরোপুরি সমর্থন করে। তাঁর মতে, সন্ত্রাসবাদ দমনের লড়াই কোনো একক দেশের কাজ নয় — এটা আন্তর্জাতিক দায়িত্ব।
এখনকার আপডেট কী?
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এনআইএ (NIA) পাহালগাম হামলার তদন্তের কাজ হাতে নিয়েছে। এরই মধ্যে ভারতীয় নৌবাহিনী দূরপাল্লার অ্যান্টি-শিপ মিসাইল ছুড়ে নিজেদের সামরিক ক্ষমতা দেখিয়েছে। অন্যদিকে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি অনুরোধ করেছেন — যেন নিরপরাধ সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে না ফেলা হয়।
এছাড়া জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২৭২ জন পাকিস্তানি নাগরিক ভারতে থেকে চলে গেছেন, এবং বাকি যাঁরা আছেন, তাঁদেরও দ্রুত ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে।