Advertisement

Operation Sindoor China: চিন কার পক্ষে? 'দুঃখজনক' বলেও ইঙ্গিতপূর্ণ প্রতিক্রিয়া দিল বেজিং

পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) বিরুদ্ধে ভারতের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চিন। বুধবার বেজিং-এর বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, পরিস্থিতি ‘দুঃখজনক’ এবং দুই প্রতিবেশী দেশকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 07 May 2025,
  • अपडेटेड 11:49 AM IST
  • পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) বিরুদ্ধে ভারতের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চিন।
  • বুধবার বেজিং-এর বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, পরিস্থিতি ‘দুঃখজনক’ এবং দুই প্রতিবেশী দেশকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) বিরুদ্ধে ভারতের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চিন। বুধবার বেজিং-এর বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, পরিস্থিতি ‘দুঃখজনক’ এবং দুই প্রতিবেশী দেশকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, 'আমরা চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ভারত ও পাকিস্তান সবসময় একে অপরের প্রতিবেশী এবং চিনেরও প্রতিবেশী। আমরা চাই এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকুক।'

তিনি আরও বলেন, 'চিন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। তবে একই সঙ্গে আমরা চাই না কেউ এমন কিছু করুক যাতে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। উভয় পক্ষকে সংযম দেখাতে হবে এবং এমন পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে হবে যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।'

প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকবাহী বাসে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন নিরীহ মানুষ। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় সেনা গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মোট ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে হামলা চালায়। ভারতীয় বায়ুসেনার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ধ্বংস হয় জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈয়বা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

সূত্রের খবর, হামলাগুলি পরিকল্পিতভাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল এমন জায়গায়, যেখানে সন্ত্রাসীরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আড়ালে শিবির পরিচালনা করছিল। লক্ষ্যবস্তুগুলির মধ্যে ছিল ২৬/১১ মুম্বই হামলার সঙ্গে যুক্ত লস্কর-ই-তৈয়বার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুরিদকে অবস্থিত সদর দফতর এবং সেই এলাকাও, যেখানে আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেন একসময় অর্থ সহায়তা করেছিলেন।

অভিযানের পরই ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দেশকে অভিযানের বিষয়টি জানিয়ে দেয়।

এদিকে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, সীমান্তে সমস্ত বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে। গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
 

 

TAGS:
Read more!
Advertisement
Advertisement