নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হল ছাত্র। সে নবম শ্রেণিতে পড়ত। দেহ উদ্ধার হয়েছে ঘর থেকেই। মৃতের পরিবারের দাবি, বাইক বিক্রি করে দেওয়ায় রাগে সেই ছাত্র আত্মহত্যা করে।
ঘটনা উত্তরপ্রদেশের মেরঠের। ওই নাবালক তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকত। বাড়ির কাছেই এক স্কুলে লেখাপড়া করত সে। ছাত্রের বাবা বছর খানেক আগে মারা যায়। বাড়িতে রয়েছে মা ও তার দাদা। দাদাও পড়াশোনা করে।
পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে মা ও দাদার সঙ্গে অশান্তি চলছিল ওই ছাত্রের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাড়ির বাইরে থাকত সে। পরিবারের সদস্যরা তা মেনে নিতে চায়নি। সেজন্য বকাঝকা করত। সম্প্রতি সেই ঝগড়া বাড়ে। কারণ, ওই ছাত্রকে খারাপ সঙ্গ ত্যাগ করত বলা হয়। তাকে আগে একটি বাইক কিনে দেওয়া হয়েছিল। তবে তা বিক্রি করে দেওয়া হয়। তা নিয়ে অশান্তি চরমে ওঠে। তবে এই কারণে যে আত্মহত্যা করবে তা পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারেনি।
শনিবার রাত ৮ টা। পেশায় নার্স ওই ছাত্রের মা বাড়ি ফিরে দেখেন তাঁর সন্তান পড়ার ঘরে। কিছুক্ষণ পরে সেই ছাত্র অন্য একটি ঘরে চলে যায়। তারপরই গুলি চলার শব্দ আসে। ততক্ষণে সব শেষ। সেই ঘরের জানলা ভেঙে ঘর থেকে দেহ উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, আত্মঘাতী হওয়ার আগে গুগল ও ইউটিউবে সেই ছাত্র সার্চ করে জানতে চেয়েছিল, 'মৃত্যুর পরে মানুষের আত্মার কী হয়।'
দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল। সেটির লাইসেন্স রয়েছে। ওই ছাত্র যাদের সঙ্গে মেলামেশা করত তাদের একেবারেই পছন্দ করত না পরিবারের সদস্যরা। তা নিয়ে বাড়িতে নিত্য অশান্তি লেগে থাকত। সেই কারণেই আত্মহত্যা।