ওড়িশার ঘটনার রেশ না কাটতেই ফের নিন্দনীয় ঘটনা। কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে এক বেসরকারি কলেজের দুই শিক্ষক ও তাদের এক বন্ধুর বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ ইতিমধ্যেই ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত দু’জন কলেজের পদার্থবিদ্যা ও জীববিদ্যার লেকচারার। অভিযোগ, পদার্থবিদ্যার শিক্ষক ছাত্রীটিকে নোটস দেওয়ার নাম করে এক বন্ধুর বাড়িতে ডাকেন। সেখানে গিয়ে ছাত্রীটি প্রথমে ধর্ষণের শিকার হন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত জীববিদ্যার শিক্ষক ও তাঁদের বন্ধু এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে রাখেন। এরপর সেই ভিডিও দেখিয়ে তাঁরা ছাত্রীকে হুমকি দিতে শুরু করেন এবং মানসিক চাপে ফেলেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই ভিডিওকে হাতিয়ার করে ছাত্রীটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। প্রায় এক মাস ধরে এইভাবে ব্ল্যাকমেল ও ধর্ষণের শিকার হন তিনি। অবশেষে সাহস করে বাড়িতে সব জানান ছাত্রীটি। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ তদন্তে নামে এবং অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করে।
ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজ্য মহিলা কমিশন ইতিমধ্যেই ঘটনার উপর নজরদারি শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং ছাত্রীটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুলাই ওড়িশার বালেশ্বরের একটি কলেজে অধ্যক্ষের ঘরের সামনে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন এক ছাত্রী। তাঁর অভিযোগ ছিল, বিএড বিভাগের প্রধান তাঁকে নানা রকম কুপ্রস্তাব দিতেন। তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার জন্য জোর করতেন। বার বার অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা না হওয়ায় শেষে কলেজেই গায়ে আগুন দেন ছাত্রী। সোমবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।