অসমের মধ্যে দিয়ে রাহুলের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা যাচ্ছে। রবিবার সোনিতপুর জেলায় পৌঁছায় রাহুল গান্ধীর বাস। অভিযোগ, সেখানেই তাঁর বাস থামিয়ে দেন বিজেপি কর্মীদের একাংশ। বাস থামানোর পর বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা বাস থেকে নেমে যান। অবরোধকারীদের 'মোদী-মোদী' স্লোগান দিতে দেখা যায়।
রাহুল গান্ধী এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এও পোস্ট করেছেন। তিনি বলেন, 'ভালবাসার দোকান সবার জন্যই উন্মুক্ত। ভারত জুড়বে, ভারত জিতবে। একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি। তাতে দেখা যাচ্ছে রাহুলের বাসের সঙ্গে একদল ভিড় চলছে। এমন সময়ে রাহুল বাস থেকে নেমে আসেন। তবে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে আবার বাসেই বসতে বলেন।' ভিড়ের উদ্দেশে ফ্লাইয়িং কিসও দিতে দেখা যায় রাহুলকে।
প্রসঙ্গত, এদিন বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'য় হামলার অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। রবিবার অসমের সোনিতপুর জেলা দিয়ে কংগ্রেসের পদযাত্রা যাচ্ছিল। সেই সময়ে জয়রাম রমেশের গাড়ি এবং মিছিলের সঙ্গে থাকা চিত্র সাংবাদিকদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
এই নিয়ে অসমে চতুর্থ দিনে পা দিল ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা। বিশ্বনাথ জেলা থেকে সোনিতপুর হয়ে নগাঁও পর্যন্ত মিছিল গিয়েছে। রাহুল গান্ধী এদিন নগাঁও জেলার কালিয়াবোরে একটি সমাবেশে বক্তৃতা দেন। তার ঠিক আগেই এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে দাবি কংগ্রেসের।
অভিযোগকারীদের দাবি, রাহুল গান্ধীর আসার আগে বিজেপি সমর্থকরা সেই একই রুটে নিজেদের পদযাত্রা চালাচ্ছিল। আর ঠিক সেই সময়েই ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার কিছু গাড়ি ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময়েই বিজেপি কর্মীদের একাংশ তাঁদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের সহ, বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে কংগ্রেসের পদযাত্রা কভার করতে আসা সাংবাদিকদের উপরেও হামলা করা হয় বলে অভিযোগ।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত শর্মা এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি জানান, কংগ্রেসের অভিযোগের দ্রুত তদন্ত করা হবে। অসমের ডিজিপিকে একটি মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির (AICC) মুখপাত্র মহিমা সিং সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, 'আমাদের খুব ভয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।' তিনি আরও দাবি করেন, এক ভ্লগারের ক্যামেরাও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সেটি ফেরতও দেওয়া হয়নি। উল্টে দাবি করা হচ্ছে যে কোনও ক্যামেরাই ছিনিয়ে নেওয়া হয়নি।
'রমেশজি এবং আরও কয়েকজনের গাড়ি জামুগুড়িঘাটের কাছে ছিল। সেখানে মূল পদযাত্রার সঙ্গে গাড়িগুলি যোগ দিতে যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময়ে হামলা চালানো হয়,' দাবি তাঁর।
অভিযোগ, জয়রাম রমেশের গাড়ি থেকে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার স্টিকার ছিঁড়ে ফেলা হয়। হামলাকারীরা গাড়িতে বিজেপির পতাকা লাগানোর চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ। দলের সোশ্যাল মিডিয়া টিমের সদস্যদেরও মারধর করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
তিনি বলেন, 'আমরা পুলিশকে এই বিষয়ে জানিয়েছি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বর্তমানে ঘটনাস্থলে আছেন।'
X হ্যান্ডেলে এই ঘটনার বিষয়ে জানিয়েছেন জয়রাম রমেশও। একটি ভিডিও টুইট করে তাঁর অভিযোগ, এই হামলা হিমন্ত বিশ্বশর্মার কাজ। তিনি বলেন, বিজেপি কর্মীরা জল ছুঁড়তে শুরু করে। আমরা মাথা ঠান্ডা রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাই।