এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে রবিবার চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎ ও উষ্ণ করমর্দনকে ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, চিনের একের পর এক আগ্রাসন এবং ভারতের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক আচরণের পরও প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় অবস্থান না নিয়ে বরং আত্মসমর্পণের পথে হাঁটছেন।
কংগ্রেসের তরফে জয়রাম রমেশ বলেন, 'বিশ্লেষকরা যাকে হাতি-ড্রাগনের নাচ বলছেন, আসলে সেটা হাতির ড্রাগনের কাছে নতজানু হয়ে আত্মসমর্পণ।' তিনি অভিযোগ করেন, গালওয়ান উপত্যকায় ২০ জন ভারতীয় সেনার প্রাণহানির পরও এবং চলতি অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে সমর্থন করা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী চিনের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেননি। বরং তিনি শি জিনপিং-এর সঙ্গে হাসিমুখে করমর্দন করেছেন।
কংগ্রেসের আরও অভিযোগ, চিন ভারতের প্রায় ২,০০০ বর্গকিলোমিটার ভূখণ্ড দখল করেছে এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক তথ্য ভাগ করছে। অথচ মোদী সরকার নীরব থেকেছে। কংগ্রেসর দাবি, এটি ১৯৬২ সালের সীমান্ত যুদ্ধের পর ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় ধাক্কা। সরকার কাপুরুষতা এবং ভুল অর্থনৈতিক অগ্রাধিকারের কারণে চিনের সঙ্গে স্বাভাবিকীকরণের নীতি নিচ্ছে।
অন্যদিকে, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, নয়াদিল্লি বেজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চিনের প্রেসিডেন্ট শি ভারতকে দরকারি বন্ধু বলে বর্ণনা করে বলেন, দুই এশীয় শক্তির উচিত তাদের সম্পর্ককে কৌশলগত ও দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা।
উল্লেখযোগ্যভাবে, সাত বছরের মধ্যে এটাই প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রথম চিন সফর। এই সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন-সহ মধ্য, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যিক শুল্ক বাড়ানোর প্রেক্ষাপটে এই বৈঠককে গ্লোবাল সাউথের ঐক্যের প্রদর্শন হিসেবেই দেখা হচ্ছে।