চলতি সপ্তাহেই কোভিড ১৯ সংক্রমণের শিকার হয়েছেন রাহুল গান্ধী। নিজেই সেকথা ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন। ফলে আপাতত নিভৃতবাসে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা। এরমাঝে কেন্দ্রকে আক্রমণ করতে অবশ্য ভুলছেন না ওয়ানাড়ের সাংসদ। করোনা মহামারি গতবছর দেশে দারিদ্যের সংখ্যা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই নিয়েই এবার মোদী সরকারকে বিঁধলেন রাহুল গান্ধী।
২০২০-তে দেশে দারিদ্র্য দ্বিগুণ হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পিউ রিসার্চ সেন্টারের গবেষণায় উঠে এসেছে মহামারীর প্রথম ধাক্কায় গত বছর পাঁচ কোটি ৪০ লাখ মানুষ মধ্যবিত্ত শ্রেণি থেকে নিচে নেমে গেছে। যার অর্ধেকই ভারতীয় এবং এই সংখ্যা প্রায় তিন কোটি ২০ লাখ। দারিদ্র্য বিমোচনে গত কয়েক দশক ধরে দেশ যে অগ্রগতি অর্জন করেছিল মহামারির কারণে তা যেন হারাতে বসেছে। ক্ষয়িষ্ণু মধ্যবিত্ত শ্রেণিকেই এর দীর্ঘমেয়াদী ধাক্কা সামলাতে হচ্ছে। গতবছর দেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণায় ১০ কোটির বেশি ভারতীয়কে কর্মহীন করে দিয়েছিল। অনেক অর্থনীতিবিদই বলেছেন, গত বছরের লকডাউন মহামারির পরিস্থিতিকে আরও বাজে আবস্থায় নিয়ে গেছিল। মহামারি শুরু হওয়ার আগে দেশে গরিবের সংখ্যা ছিল ৬ কোটি। কিন্তু করোনা কালে সেই সংখ্যা ১৩ কোটি হয়ে গিয়েছে। সেই কিরোর্ট নিয়েই বৃহস্পতিবার মোদী সরকারকে আক্রমণ করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
ট্যুইটে রাহুল লেখেন, "গরিব কেবল সংখ্যা নয়। জলজ্যান্ত মানুষ। শত শত অসহায় পরিবার। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলিকে দারিদ্র শ্রেণিতে নিয়ে এসেছে, বিজেপি সরকার ধ্বংস করে দেখিয়েছে।"
কেন্দ্রের লকডাউন ঘোষণা নিয়ে বরাবরই মোদী সরকারের সমালোচনা করতে দেখা গেছে রাহুল গান্ধীকে। বুধবার দেশের করোনা ভ্যাকসিন নীতিরও সমালোচনা করেন রাহুল। ভ্যাকসিন নীতির সঙ্গে নোটবন্দির তুলনা করে রাহুল জানিয়েছিলে, ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে কেন্দ্র যে রণকৌশল নিয়েছে, তাতে নোটবন্দির মতো অবস্থাই হবে।মানুষকে ফের লাইনে দাঁড়াতে হবে। দুর্দশার সীমা থাকবে না।