ইন্ডিয়া জোটেই আছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাড়খণ্ডের গুমলার সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর দাবি অন্তত এমনটাই। এদিকে আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেসকে লাগাতার আক্রমণ শানাচ্ছেন মমতা। বাংলায় রাহুলের ন্যায় যাত্রা থেকে আসন রফা কোনও কিছুই তাঁর নিশানার বাইরে নেই। এরপরেও রাহুলের দাবি, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরোপুরি জোটেরই অংশ'। এ-ও বলেন, জনতা দলের সভাপতি নীতীশ কুমার ব্যতীত সব বিরোধীরাই ইন্ডিয়ার অংশ।
রাহুলের 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা' ওড়িশায় প্রবেশের ঠিক আগে রাহুলের আরও বলেন, "আপনি যদি মমতাজির বিবৃতি দেখেন, তিনি ইন্ডিয়া জোটের অংশ এবং অন্যান্য সদস্য যারা ভারত জোটের অংশ ছিল তাদের অধিকাংশই এখনও এই জোটেরই সদস্য।"
বলেন, "নীতীশ কুমার জোট ত্যাগ করে বিজেপিতে চলে গেছেন। তার চলে যাওয়ার কারণ কী তা যে কেউ অনুমান করতে পারেন। আমি একমত নই যে আমাদের অনেক সদস্য বেরিয়ে যাচ্ছেন।"
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ১৫টি রাজ্য জুড়ে মণিপুর থেকে মুম্বই যাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবে যে সংসারই তৈরি হল না, তা আগেই ভেঙে যাওয়া আবার তা জোরা লাগানোর প্রয়াস নিয়ে বিজেপির কটাক্ষের মুখে রাহুল।
'কুকুরে আসক্তি বিজেপির'
সম্প্রতি একটি ভাইরাল ভিডিওতে যেখানে রাহুলকে একটি কুকুরকে বিস্কুট খাওয়াতে দেখা যায় এবং তারপরে সেই বিস্কুট অন্য আরেকজনের হাতে দেন। এই ভিডিওকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি করে বিজেপি। রাহুল বলেন, “কুকুরটি ভয়ে কাঁপছিল... আমি তখন তাকে একটি বিস্কুট দিই। তারপর মালিককে বলি বিস্কুটটা তাকেই খাইয়ে দিতে, তোমার হাত থেকে খাবে না। তারপর মালিক দিল এবং কুকুরটি বিস্কুট খেয়ে ফেলল। এতে সমস্যা কী? আমি বুঝতে পারছি না কুকুরের প্রতি বিজেপির এত আসক্তি কেন?"
জাতিভিত্তিক সংরক্ষণ ৫০ শতাংশেরও বেশি বাড়ানো হবে
এদিকে জাতগণনার পর এবার জাতিভিত্তিক সংরক্ষণ ৫০ শতাংশেরও বেশি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। তাঁদের ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে তা করা হবে বলে সোমবার জানান রাহুল। ঝাড়খণ্ডে ন্যায় যাত্রা থেকে এই প্রতিশ্রুতির কথা জানান তিনি। বলেন, "ভারতে পিছিয়ে পড়া, দলিত, আদিবাসী কোনও বড় জায়গায় নেই। ভারতের সামনে এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। আমাদের প্রথম পদক্ষেপ হবে দেশে জাতিভিত্তিক সংরক্ষণ করা।" এই অভিযোগও করেন, কেন্দ্র আদানিকে লাভবান করার জন্য সমস্ত পাবলিক সেক্টরগুলি গলা টিপে দিচ্ছে। তিনি বলেন, এই বেসরকারিকরণ দলিত, ওবিসি, আদিবাসী, সংখ্যালঘু এবং দরিদ্র মানুষের জাতি থেকে "চুরি" করার একটি প্রচেষ্টা।