Advertisement

Cough syrup death case: সর্বনাশ! কাশির সিরাপ খেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে একের পর এক; সতর্কতা

কাশির সিরাপ খাওয়ার পর একাধিক শিশু মৃত্যু ও অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনায় দেশজুড়ে চাঞ্চল্য। রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে পরপর এমন ঘটনা সামনে আসার পর তদন্তে নেমেছে জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (NCDC)। রাজস্থানের সিকার, ভরতপুর, শ্রীমাধোপুর ও জয়পুর এবং মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলায় সন্দেহভাজন সিরাপ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 01 Oct 2025,
  • अपडेटेड 1:45 PM IST
  • কাশির সিরাপ খাওয়ার পর একাধিক শিশু মৃত্যু ও অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনায় দেশজুড়ে চাঞ্চল্য।
  • রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে পরপর এমন ঘটনা সামনে আসার পর তদন্তে নেমেছে জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (NCDC)।

কাশির সিরাপ খাওয়ার পর একাধিক শিশু মৃত্যু ও অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনায় দেশজুড়ে চাঞ্চল্য। রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে পরপর এমন ঘটনা সামনে আসার পর তদন্তে নেমেছে জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (NCDC)। রাজস্থানের সিকার, ভরতপুর, শ্রীমাধোপুর ও জয়পুর এবং মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলায় সন্দেহভাজন সিরাপ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

কী ঘটেছে?
রাজস্থানের সিকারে পাঁচ বছরের এক শিশুর মৃত্যু এবং ভরতপুরে তিন বছরের এক শিশুর গুরুতর অসুস্থতার ঘটনায় সন্দেহভাজন হয়ে উঠেছে ডেক্সট্রোমেথরফান হাইড্রোব্রোমাইড সিরাপ। একইভাবে ছিন্দওয়ারায় বিগত এক মাসে সন্দেহজনক কিডনি সংক্রমণে ছয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে, যাদের ক্ষেত্রেও সিরাপ ব্যবহারের যোগসূত্র পাওয়া গেছে।

বিতরণ স্থগিত, তদন্ত শুরু

রাজস্থান মেডিকেল সার্ভিসেস কর্পোরেশন লিমিটেড (RMSCL) বিতরণে থাকা KL-25/147 এবং KL-25/148 ব্যাচ নম্বরের সিরাপ চিহ্নিত করে সব জেলায় সরবরাহ স্থগিত করেছে। জয়পুর-ভিত্তিক কেইসনস ফার্মা নির্মিত এই সিরাপ জুন মাস থেকে প্রায় ১.৩৩ লক্ষ রোগীর মধ্যে বিতরণ হয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলির পর তদন্ত সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত সব ব্যাচ বাজার থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ড্রাগ কন্ট্রোলার অজয় ফাটক জানিয়েছেন, আইনগতভাবে সিরাপের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। “পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যে রিপোর্ট হাতে আসবে। তারপরই পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারিত হবে।”

শিশুদের জন্য বিপজ্জনক?

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিরাপ মূলত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্ধারিত ছিল। আক্রান্ত শিশুদের বয়স চার বছরের কম, যা চিকিৎসকদের মতে গুরুতর ঝুঁকির কারণ হতে পারে। জয়পুরের এক ফুসফুস বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে বলেছেন, “ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া বাবা-মায়েরা শিশুদের কোনও কাশির ওষুধ দেবেন না।”

মধ্যপ্রদেশে একই ছবি

ছিন্দওয়ারায় একাধিক শিশুর মৃত্যুর পর স্থানীয় স্বাস্থ্য দপ্তরও সিরাপের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। জেলার ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শিশুদের উচ্চ জ্বর ও প্রস্রাবজনিত জটিলতার লক্ষণ দেখা দিয়েছিল। এনসিডিসি ইতিমধ্যে সিরাপ নমুনা সংগ্রহ করেছে।

সামনে কী?

Advertisement

কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, পরীক্ষাগারের রিপোর্ট হাতে এলেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত সন্দেহভাজন ব্যাচের সিরাপের বিতরণ ও ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ। একইসঙ্গে জনস্বাস্থ্য প্রকল্পে সরবরাহ করা অন্যান্য ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও নতুন করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement