ক্রমেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। দেশে করোনায় অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা আরও বাড়ল। শুক্রবার দেশে করোনায় অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২ হাজার ৯৯৭। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ২ হাজার ৬৬৯। কোভিডে নতুন করে আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি কেরলের বাসিন্দা। করোনার নয়া উপপ্রজাতি JN.1-এর দাপটে দেশের মধ্যে কেরলের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। দক্ষিণের এই রাজ্যই প্রথম এই উপপ্রজাতিতে আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩২৮।করোনাকে হারিয়ে দেশে সুস্থ হয়েছেন ৪ কোটি ৪৪ লক্ষ ৭০ হাজার ৮৮৭ জন। দেশে সুস্থতার হার ৯৮.৮১ শতাংশ।
কোন রাজ্যে কত জন আক্রান্ত
১০টি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বেড়েছে। এই ১০টি রাজ্য হল অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, ছত্তিশগড়, গুজরাট, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা এবং উত্তরপ্রদেশ। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতেও সংক্রমণ বাড়ছে। কেরলে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৬০৬। গত ২৪ ঘণ্টায় সে রাজ্যে নতুন করে ২৬৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন। বুধবার পর্যন্ত দেশে মোট ২১ জন করোনার নয়া উপপ্রজাতিতে আক্রান্ত হয়েছেন। নয়ডা, গাজিয়াবাদে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। বিহারেও ২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সকলেই বাইরে থেকে রাজ্যে ফিরেছেন। রাজস্থানেও নতুন করে ২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নতুন করে করোনায় আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। এই রাজ্যে মোট ৮ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। তাঁরা করোনার নতুন উপপ্রজাতিতে সংক্রমিত হয়েছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও এখনই মাস্ক পরা কিংবা কোভিড বিধিনিষেধ জারি করা হবে না বলেই সূত্রের খবর। সাধারণ মানুষকে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে যাঁদের উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দেশে হঠাৎ করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বুধবার পর্যালোচনা বৈঠক করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয়। সব রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির দিকে সর্বক্ষণ নজর রাখা হচ্ছে। গত বছরের শেষ থেকেই করোনার দাপট অনেকটা কমে গিয়েছিল এ দেশে। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও করোনা আতঙ্ক অনেকটাই থিতু হয়েছে। বহু দেশেই কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করে দেওয়া হয়েছে। মাস্ক পরার মতো নিয়মও শিথিল হয়েছে এ দেশে। মাস্ক ছাড়াই এখন প্রায় সকলেই বাইরে বেরোচ্ছেন। করোনাকে হারিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছেন সকলে। আবার নতুন করে করোনার এই নয়া উপ প্রজাতির হদিশ মেলায় স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে।