দেশে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়তে পারে। ভবিষ্যতে মূল্যবৃদ্ধির মারের মুখে আরও একবার পড়তে হতে পারে দেশবাসীকে বলে জানা গিয়েছে। এবার হয়তো কেন্দ্রীয় সরকারও পেট্রোল-ডিজেলের দাম কন্ট্রোল করতে পারবে না। কারণ এর আন্তর্জাতিক মূল্য চড়চড় করে বাড়ছে অপরিশোধিত তেলের দাম চলেছে বলে খবর।
ইন্ডিয়ান বাস্কেটের মূল্য বাড়ছে
ভারত নিজের প্রয়োজনের প্রায় ৮০% কাঁচা তেল আমদানি করে এবং পৃথিবীর তৃতীয় সবচেয়ে বড় ক্রুড অয়েল ইম্পোর্টার। বেশি মাত্রায় তেল এবং আলাদা আলাদা দেশে থেকে জ্বালানি সোর্স করার কারণে ভারতের জন্য কাঁচা তেলের দাম এবং বাজারের মূল্য আলাদা আলাদা হয়। এই কারণে একে ক্রুড অয়েলের ইন্ডিয়ান বাস্কেট বলে।
নিউজ এজেন্সির খবর অনুযায়ী শুক্রবার ইন্ডিয়ান বাস্কেট ক্রুড অয়েলের প্রাইস ১২১.২৮ ডলার প্রতি ব্যারেল পৌঁছে গিয়েছে। অর্থাৎ গত ১০ বছরে ইন্ডিয়ান বাস্কেটের সবচেয়ে হাই প্রাইস এটাই। পেট্রোলিয়াম প্ল্যানিং এন্ড সেল এর সংখ্যা তত্ত্ব অনুসারে ইন্ডিয়ান বাস্কেটের কাঁচা তেল এই মূল্য ফেব্রুয়ারি মার্চ ২০১২ এৎ পর সবচেয়ে বেশি দামে পৌঁছেছে।
সম্প্রতি মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য ভারত সরকার পেট্রোল-ডিজেলের এক্সাইজ ডিউটিতে বড় ছাড় দিয়েছিল। এতে দেশের এক ঝটকায় পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমে যায়। পাশাপাশি একাধিক রাজ্যে এরপরে ভ্যালু এডেড ট্যাক্স বাবদ আরও কিছুটা কমিয়ে দিয়ে পেট্রোল-ডিজেলের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল। কিন্তু এবার হয়তো আরও একবার এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে চলেছে।
রুশ ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে পরিস্থিতি বদলেছে
২০২২ এ রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর আক্রমণ করার পরেই ক্রুড অয়েলের দাম অগ্নিমূল্য হয়ে যায়। ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ মার্চের মধ্যে কাঁচা তেলের মূল্য ১১১.৮৪ টাকা প্রতি ব্যারল পৌঁছে যায়। এরপর ৩০ মার্চ থেক ২৭ এপ্রিল এর মধ্যে পেতে একটু রিলাক্সেশন আসে এবং ১০৩ টাকা ৪৪ ডলার, প্রতি ব্যারেলের দাম হয়ে যায়। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার এর আন্তর্জাতিক মূল্য দ্রুত গতিতে চড়ে গিয়েছে। ১৩ সপ্তাহের সবচেয়ে উঁচু স্তরে পৌঁছে যায় এটি। এর কারণে আমেরিকার মতো বড় বাজারে চাহিদা বাড়তে থাকায় এর প্রভাব ইন্ডিয়ান বাস্কেট এর উপর পড়েছে।