Advertisement

Cyclonic Storm Dana Odisha Landfall: পুরী সহ ওড়িশায় তাণ্ডব শুরু, প্রবল বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল কখন?

ল্যান্ডফল হতে আর কিছু সময় বাকি। তার আগে প্রভাব শুরু হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র । ঘূর্ণিঝড় দানা পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওড়িশা পর্যন্ত ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এটা আজ রাতেই ল্যান্ডফল করবে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার অনেক এলাকায় ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় প্রবল বাতাসও বয়ে যায়। আসলে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'দানা' ওড়িশা ও বাংলার উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এর প্রভাব প্রতিবেশী রাজ্য বিহার ও ঝাড়খণ্ডেও দেখা যাচ্ছে।

ওড়িশায় তাণ্ডব শুরু দানার
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 24 Oct 2024,
  • अपडेटेड 3:31 PM IST


ল্যান্ডফল হতে আর কিছু সময় বাকি। তার আগে প্রভাব শুরু হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র ।  ঘূর্ণিঝড় দানা পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওড়িশা পর্যন্ত ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এটা আজ রাতেই ল্যান্ডফল করবে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার অনেক এলাকায় ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় প্রবল বাতাসও বয়ে যায়। আসলে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'দানা' ওড়িশা ও বাংলার উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এর প্রভাব প্রতিবেশী রাজ্য বিহার ও ঝাড়খণ্ডেও দেখা যাচ্ছে। ভারতের মৌসম বিভাগ অনুসারে, ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার ভোরবেলা ভিতরকানিকা ন্যাশনাল পার্ক এবং ওড়িশার ধামরা বন্দরের মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

 বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় 'দানা' গত ছয় ঘণ্টায় ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার বেগে উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। এটি ছিল পারাদ্বীপ (ওড়িশা) থেকে প্রায় ২৬০কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, ধামরা (ওড়িশা) থেকে ২৯০  কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে এবং সাগর দ্বীপ (পশ্চিমবঙ্গ) থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে সকাল ৫.৩০ মিনিটে। আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ বুলেটিনে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় 'দানা' উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ২৪ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর সকালের মধ্যে পুরী ও সাগর দ্বীপের মধ্যে উত্তর ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিমি হতে পারে।

মৌসম বিভাগ জানিয়েছে যে গত চার ঘন্টায়, পারাদ্বীপে সর্বাধিক ৬২ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে, যেখানে কেন্দ্রপাড়া জেলার রাজনগরে ২৪  মিমি বৃষ্টি হয়েছে। ওড়িশার দ্রক, বালাসোর, জাজপুর, কটক, খুরদা, জগৎসিংপুর, কেন্দ্রপাড়া এবং পুরীর কিছু অংশে দিনের বেলায় ৩০-৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের সঙ্গে  মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঝড়ের প্রভাব পড়েছে বিমান ও ট্রেন পরিষেবায়। অনেক ট্রেন বাতিল এবং ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

Advertisement

মৌসম বিভাগের  মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন যে ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড এবং বিহার ঘূর্ণিঝড় দানা দ্বারা প্রভাবিত হবে। উপকূলীয় এলাকায় গাছপালা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের অনুমান অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এর গতি ৬০  থেকে ৭০ কিমি। ধীরে ধীরে বাড়বে বাতাসের গতিবেগ। ল্যান্ডফলের সময়  ডানার গতি ১২০ পর্যন্ত হতে পারে। আজ মধ্যরাত থেকে ল্যান্ডফল শুরু হবে, যা চলবে ২৫ তারিখ পর্যন্ত। সমুদ্রের ঢেউ এক থেকে দুই মিটার পর্যন্ত হতে পারে। মৌসম বিভাগ ২৫ ও ২৬ অক্টোবর রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। এই ঝড়ের কারণে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার অনেক এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে এই ঘূর্ণিঝড়টি ১২ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে চলেছে। যখন বাতাস ১০০ থেকে ১২০ বেগে প্রবাহিত হবে, তখন গাছ পড়ে যেতে পারে, ডালপালা পড়ে যেতে পারে, মাটির ঘর ভেঙে পড়তে পারে। ফসলেরও ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায় আরও ক্ষয়ক্ষতি হবে। এছাড়াও ঝাড়খণ্ড ও বিহারেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

ইতিমধ্যে ধামরা বন্দর থেকে কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে মাইকিং করে সতর্কতামূলক প্রচার করছে প্রশাসন। স্থানীয়দের এলাকা থেকে সরে যাওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। বন্দরে বেঁধে রাখা হয়েছে বিভিন্ন মাছ ধরার নৌকো। সৈকতের সামনে থেকে সব দোকান সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৎপর রয়েছে প্রশাসন। মধ্য ওডিশার বিস্তীর্ণ এলাকায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে পারাদ্বীপে (৬২ মিলিমিটার)। কেন্দ্রাপাড়ার রাজনগরে ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ভদ্রক, বালাসোর, জয়পুর, কটক, খুরদা ও পুরীতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ভদ্রক, ভিতরকণিকা ও পুরীতে গাছ উপড়ে বেশকিছু রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়েছে। ১৪টি জেলা থেকে অন্তত ১০ লক্ষ বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সে রাজ্যের প্রশাসনের। রাজ্যের একাধিক স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুরী  ওডিশার অন্যতম পর্যটনস্থল। ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কা থেকে বাঁচতে ২৩ অক্টোবরের আগেই পুরী থেকে সরে যেতে বলা হয়েছিল পর্যটকদের। ২৪ ও ২৫ অক্টোবর পুরীতে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দফতর  সূত্রে খবর, এদিন রাত থেকে ল্যান্ডফল শুরু হয়ে ২৫ অক্টোবর অর্থাৎ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত চলবে সেই প্রক্রিয়া। বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ পৌঁছোতে পারে প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement