Advertisement

Cyclone Shakti: সাগরে ফুঁসছে সাইক্লোন, কত কিমি বেগে ঝড়? বড় আপডেট

আরব সাগরে উৎপন্ন হওয়া ঘূর্ণিঝড় শক্তি গর্জালেও বর্ষাবে না তেমন। সোমবারের পর থেকে ক্রমশই শক্তি হারাতে শুরু করবে। মহারাষ্ট্রের উপকূল থেকেও এটি ক্রমশ সরতে শুরু করেছেন। এর প্রভাবে দুর্যোগের আশঙ্কা কতটা?

ফাইল চিত্র ফাইল চিত্র
Aajtak Bangla
  • মুম্বই,
  • 05 Oct 2025,
  • अपडेटेड 12:28 PM IST
  • ক্রমশই শক্তি ক্ষয় হবে ঘূর্ণিঝড় শক্তির
  • মহারাষ্ট্র উপকূল থেকেও সরে যাচ্ছে সাইক্লোন
  • কোথায়, কতটা প্রভাব পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়ের?

আরব সাগরে ফুঁসছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’। এটি ক্রমশ পশ্চিম এবং দক্ষিণ পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে এটি উত্তর পশ্চিম আরব সাগরে পৌঁছে যাবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ ছিল ওমানের রাস আল হাদের পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব অংশ থেকে প্রায় ৩২০ কিলোমিটার দূরে। সোমবার, ৬ অক্টোবর থেকে এই 'শক্তি' পূর্বদিকে বাঁক নিতে পারে এবং ধীরে ধীরে নিজের শক্তি হারাতে পারে। ফলে গর্জালেও তেমন বর্ষাবে না এই সাইক্লোন।  

কোথায় কত বৃষ্টি?
এর আগে IMD সতর্ক করেছিল, ঘূর্ণিঝড়টি তীব্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মহারাষ্ট্র উপকূলে ভারী বৃষ্টি, প্রবল দমকা হাওয়া এবং সাগরে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি করবে। সেই মতো রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং অপেক্ষাকৃত নীচু উপকূলীয় এলাকাগুলির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনাও কার্যকর করা হচ্ছে।

মুম্বই, থানে, পালঘর, রায়গড়, রত্নাগিরি এবং সিন্ধুদুর্গ জেলাগুলিতে আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই উত্তর মহারাষ্ট্র উপকূলে ৪৫–৫৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে দমকা হাওয়া বইতে শুরু করেছে। যার গতিবেগ ৬৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের জোয়ারের জল বৃদ্ধি ও স্থানীয় বন্যার আশঙ্কায় সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গুজরাত, উত্তর মহারাষ্ট্র এবং পাকিস্তান উপকূলের সমুদ্রপৃষ্ঠে রবিবার পর্যন্ত অত্যন্ত উত্তাল অবস্থা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সাইক্লোনের গতিবিধি 
শ্রীলঙ্কা এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে। সেই ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ প্রাথমিকভাবে পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছিল, পরে পশ্চিম ও দক্ষিণম পশ্চিমে দিক পরিবর্তন করে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এটি দ্বারকার পশ্চিমে প্রায় ৩০০ কিমি, করাচির দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমে ৩৩০ কিমি এবং পোরবন্দর থেকে ৩৬০ কিমি পশ্চিমে অবস্থান করছিল। গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৮ কিমি।

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের মতে, ৬ অক্টোবরের পর ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি কমে যাবে, তবে উপকূলবর্তী এলাকায় তখনও প্রবল ঝড়, জোয়ার ও সমুদ্র উত্তাল থাকবে। ফলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা এখনই এড়ানো যাচ্ছে না। IMD উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের আগামী কয়েক দিন সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement