মুম্বই-কুশিনগর এক্সপ্রেসের এসি কোচের বাথরুমে একটি ডাস্টবিনের ভেতর থেকে পাঁচ বছরের শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদেহ পাওয়ার খবর চাউর ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি রেল কর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়। রেলের কর্তারা দ্রুত পৌঁছে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ ট্রেনের বাথরুম থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
তথ্য অনুযায়ী, ২২৫৩৭ নম্বর লোকমান্য তিলক টার্মিনাস-কুশিনগর এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি কোচ বি২ এর বাথরুমে একটি ডাস্টবিনের ভেতর থেকে শিশুটি মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। তার বয়স প্রায় পাঁচ বছর বলে জানা গিয়েছে। আসলে, ট্রেনের এসি কোচ বি২ এর বাথরুমে একটি ডাস্টবিন রাখা ছিল। মেয়েটির মৃতদেহ তাতে ছিল। লোকেরা যখন এটি দেখেছিল, তখন তারা হতবাক হয়ে যায়। এই বিষয়টির তথ্য রেল পুলিশ এবং প্রশাসনকে জানানো হয়।
এই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেলের কর্তা এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। ট্রেনের যাত্রীরা যখন এই বিষয়টি জানতে পারেন, তখন চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ট্রেনের বাথরুম থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে শিশুটিকে কোথাও থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। তাঁর নিজের আত্মীয়ই অপহরণ করেছিল। পুলিশ এই ঘটনাটিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে এবং তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত শুরু করেছে।
প্রাথমিক সূত্রে জানা গিয়েছে যে শিশুটির খুড়তুতো ভাই এই অপহরণের সঙ্গে জড়িত ছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে শিশুটিকে খুন করে তার দেহ ট্রেনের টয়লেটে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত পুলিশ তদন্তে যে তথ্য বেরিয়ে এসেছে, মৃত শিশুটির পরিবার গুজরাতের সুরাতে থাকে। অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রথমে সুরাত থেকে শিশুটিকে অপহরণ করে এবং পরে নাসিকে পৌঁছয়। সেখান থেকে কুশিনগর এক্সপ্রেসে ওঠে এবং যাত্রার সময় নিষ্পাপ শিশুটিকে খুন করা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য রেকর্ড করে পুলিশ পুরো মামলার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ বলছে যে অপহরণ এবং খুন, উভয় দিক থেকেই পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হচ্ছে।