দীপাবলির আগে দূষণের কবলে দিল্লি-এনসিআর। বাতাসের মান উদ্বেগজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিল্লি-এনসিআর-এর গড় বায়ু মানের সূচক (AQI) ২৫৪ রেকর্ড হয়েছে। বিশেষ করে আনন্দ বিহারে AQI ছিল ৩৯০, উজিরপুরে ৩৫১ এবং জাহাঙ্গিরপুরীতে ৩৪২, যা 'খারাপ' মান বিভাগের অধীনে পড়ে।
সকাল ৮টায়, দিল্লির গড় AQI ছিল ২২৫-এর উপরে পৌঁছে যায়। বাতাস "গুরুতর" স্তরের খুব কাছাকাছি ছিল।
এনসিআরের অন্যান্য শহরে নয়ডায় AQI রেকর্ড করা হয়েছে ২৮৮, গুরুগ্রামে ২৬৬, গ্রেটার নয়ডায় ২৭২ এবং গাজিয়াবাদে ৩০৬, যা এটিকে দেশের সবচেয়ে দূষিত অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পঞ্জাব-হরিয়ানায় খড় পোড়ানো, রাস্তায় যানবাহনের ধোঁয়া এবং বাতাসের ধীর গতি একসঙ্গে এই গুরুতর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। GRAP-এর প্রথম ধাপ ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে, কিন্তু বায়ুর মানের কোনও উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি এবং আগামী দু'দিনের মধ্যে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্ট কেবল দীপাবলির আগে সবুজ আতশবাজি পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছে, কিন্তু নিয়ম উপেক্ষা করলে বাতাস আরও বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে।
দীপাবলি এবং অন্যান্য উৎসবের সময়, বায়ু দূষণের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। দূষণ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য কিছু সহজ কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথমত, বাইরের ধোঁয়া এবং দূষণকারী পদার্থ এড়াতে ঘরের ভিতরে থাকা এবং জানালা-দরজা বন্ধ রাখা গুরুত্বপূর্ণ। বাড়িতে এয়ার পিউরিফায়ার বা পোর্টেবল এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার বাতাস পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। যখনই বাইরে যাবেন, তখন N95 বা তার চেয়ে ভালো মাস্ক পরা অপরিহার্য, কারণ এটি PM ২.৫ এবং অন্যান্য বিষাক্ত কণা থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।
পরিবেশ রক্ষার জন্য, সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক অনুমোদিত সবুজ আতশবাজি ব্যবহার করুন। দীপাবলির সময় যানবাহনের ব্যবহার কমিয়ে আনুন, কারণ যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি বায়ু দূষণকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
শরীরকে সুস্থ এবং হাইড্রেটেড রাখতে, প্রচুর পরিমাণে জল খান। এটি ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং পানিশূন্যতা রোধ করে। বাড়িতে গাছ লাগানোও একটি ভালো ধারণা, কারণ এগুলি বাতাসকে বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে।