Advertisement

Delhi ncr artificial rain: দূষণ কমাতে দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টি হবে, গায়ে পড়লে বিপদ? জেনে রাখা ভালো 

দীপাবলির পর থেকেই রাজধানী দিল্লি ও এনসিআর এলাকায় ফের বাড়ছে ভয়াবহ বায়ুদূষণ। গত কয়েকদিন ধরে বাতাসের মান ‘অতি খারাপ’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের (CPCB) সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার সকালে দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) ছিল ২৯৩, যা আগের দিন বিকেলে ছিল ৩০৫।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 24 Oct 2025,
  • अपडेटेड 2:32 PM IST
  • দীপাবলির পর থেকেই রাজধানী দিল্লি ও এনসিআর এলাকায় ফের বাড়ছে ভয়াবহ বায়ুদূষণ।
  • গত কয়েকদিন ধরে বাতাসের মান ‘অতি খারাপ’ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

দীপাবলির পর থেকেই রাজধানী দিল্লি ও এনসিআর এলাকায় ফের বাড়ছে ভয়াবহ বায়ুদূষণ। গত কয়েকদিন ধরে বাতাসের মান ‘অতি খারাপ’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের (CPCB) সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার সকালে দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) ছিল ২৯৩, যা আগের দিন বিকেলে ছিল ৩০৫।

এই পরিস্থিতিতে দিল্লি সরকার দূষণ রোধে কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের (Artificial Rain) পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রশাসনের তরফে খবর, দিল্লি ও এনসিআর অঞ্চলে ক্লাউড সিডিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে মেঘ তৈরি করে বৃষ্টি নামানোর প্রস্তুতি চলছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহেই এই কৃত্রিম বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কীভাবে তৈরি হয় কৃত্রিম বৃষ্টি?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্লাউড সিডিং এমন একটি বৈজ্ঞানিক আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ কৌশল, যেখানে মেঘের মধ্যে সিলভার আয়োডাইড (Silver Iodide) বা সোডিয়াম ক্লোরাইড জাতীয় রাসায়নিক ছড়িয়ে ঘনীভবন ঘটানো হয়, যাতে কৃত্রিমভাবে বৃষ্টির সৃষ্টি হয়। এই প্রযুক্তি নতুন নয়, বহু দেশেই খরা বা চরম শুষ্ক অবস্থায় এটি প্রয়োগ করা হয়। ভারতেও কয়েকবার সফলভাবে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত করা হয়েছে, বিশেষত দূষণ কমাতে এবং আর্দ্রতা বাড়াতে।

কোন রাসায়নিক ব্যবহার হয়?
এই প্রক্রিয়ায় প্রধানত সিলভার আয়োডাইড (AgI) ব্যবহৃত হয়। এটি রূপা ও আয়োডিনের যৌগ, যা কৃষি কীটনাশক, ফটোগ্রাফি, এমনকি অ্যান্টিসেপটিক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। তবে এটি জলে খুব কম দ্রবণীয় এবং স্বাভাবিক অবস্থায় মানবদেহের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্ষতিহীন।

গায়ে পড়লে ক্ষতি হবে কি?
এই প্রশ্ন নিয়েই উঠেছে বিতর্ক। অনেকের মনে আশঙ্কা, কৃত্রিম বৃষ্টির জলে রাসায়নিক মিশে ত্বক বা শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে কি না। এবিষয়ে আইআইটি কানপুরের পরিচালক ও ক্লাউড সিডিং বিশেষজ্ঞ মহেন্দ্র আগরওয়াল বলেন, 'কৃত্রিম বৃষ্টির সময় মানুষের ঘর থেকে বেরোনোর কোনও সমস্যা হয় না। সিলভার আয়োডাইড এত অল্প পরিমাণে ব্যবহার করা হয় যে, সেটি কারও শরীরে ক্ষতি করার মতো নয়। এমনকি বৃষ্টির জলে সামান্য মিশলেও তা বিপজ্জনক নয়।'

Advertisement

তিনি আরও বলেন, 'ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করতে হলে সিলভার আয়োডাইডের ঘনত্ব অনেক বেশি হতে হয়। ক্লাউড সিডিংয়ে ব্যবহৃত পরিমাণ সেই তুলনায় নগণ্য।'

কেন দরকার কৃত্রিম বৃষ্টি?
দিল্লিতে প্রতি বছরই শীতের শুরুতে দূষণের মাত্রা বাড়ে, বিশেষত দীপাবলির পর, যখন পটকার ধোঁয়া ও শস্য পোড়ানোর ধোঁয়া মিলেমিশে বাতাস ভারী করে তোলে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কৃত্রিম বৃষ্টির মাধ্যমে বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণা (PM2.5 ও PM10) ধুয়ে দেওয়া যাবে বলে আশা করছে সরকার। এতে বাতাসের মান কিছুটা উন্নত হতে পারে।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement