
সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় রাজধানী দিল্লির লাল কেল্লার কাছে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আটজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ আগে তোলা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ভিড়ের মধ্যে দিয়ে একটি I-20 গাড়ি যাচ্ছে। কালো মাস্ক পরা ব্যক্তি, যাকে গাড়ির ভেতরে চালকের আসনে বসে থাকতে দেখা গেছে, তাকে জঙ্গি মহম্মদ উমর বলে মনে করা হচ্ছে। সন্দেহজনক গাড়ির এই ফুটেজটি বিস্ফোরণের তদন্তে একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।
সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে রাস্তাটি যখন খুব ব্যস্ত ছিল, তখন একটি সাদা I-20 গাড়ি ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। গাড়িটি যানজটের মধ্য দিয়ে চলতে থাকে। ফুটেজ অনুসারে, গাড়িটি যে চালাচ্ছিল তার মুখ কালো মাস্ক দিয়ে ঢাকা ছিল। গাড়ির সামনে মাস্ক পরা ডাক্তার হলেন মহম্মদ উমর, ফরিদাবাদ মডিউলের একজন পলাতক জঙ্গি।
এটা কার গাড়ি ছিল?
যে হুন্ডাই I-20 গাড়িতে বিস্ফোরণটি ঘটেছিল তা মূলত মহম্মদ সলমানের ছিল, কিন্তু তিনি এটি নাদিমের কাছে বিক্রি করেছিলেন, যিনি পরে এটি ফরিদাবাদের একটি ব্যবহৃত গাড়ির ডিলার রয়েল কার জোনের কাছে বিক্রি করেছিলেন। পরে এটি তারিক এবং তারপরে উমর কেনেন।
মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটে বিস্ফোরণটি ঘটে
দিল্লির লাল কেল্লার বাইরে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণকে এখন সন্দেহভাজন জঙ্গি হামলা হিসেবে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তকারীরা নিশ্চিত করেছেন, একটি হুন্ডাই I-20 গাড়ি বিস্ফোরক ভর্তি ছিল এবং লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে ইচ্ছাকৃতভাবে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। শীর্ষ গোয়েন্দা সূত্র ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছে, বিস্ফোরণে আটজন নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন, যাদের এলএনজেপি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে আক্রমণটি আত্মঘাতী ধাঁচের একটি অভিযান বলে মনে হচ্ছে। সূত্র জানিয়েছে, গাড়িটি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা তারিক কিনেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে, যাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তদন্তকারীরা ফরিদাবাদের একটি জঙ্গি মডিউলের সঙ্গে তার সংযোগ তদন্ত করছেন। তারিককে বোমা হামলার মূল পরিকল্পনাকারী বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রাথমিক গোয়েন্দা রিপোর্টে দেখা গেছে, গাড়িটি বিস্ফোরক ভর্তি ছিল এবং তারপর তা জনাকীর্ণ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সন্ধ্যা ৬:৫২ মিনিটে গাড়িটিতে বিস্ফোরণ ঘটে, যার ফলে আগুন লেগে আশেপাশের যানবাহনগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন,বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে রাস্তার আলো নিভে গিয়েছিল এবং আগুনের শিখা কয়েক ফুট উঁচুতে উঠেছিল। বিস্ফোরণের কারণ তদন্তাধীন।