ভারতের নাগরিক হওয়ার আগেই ভোটাধিকার পেয়েছিলেন কংগ্রেসের সনিয়া গান্ধী। এই মর্মে অভিযোগ করেছিলেন এক আইনজীবী। তবে তা খারিজ করে দিল দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈভব চৌরাসিয়া সনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ নস্যাৎ করে আবেদন খারিজ করে দেন।
অভিযোগকারী আইনজীবীর দাবি ছিল, সনিয়া গান্ধী ১৯৮৩ সালের ৩০ এপ্রিল ভারতীয় নাগরিকত্ব অর্জন করেছিলেন। অথচ ১৯৮০ সালে দিল্লির ভোটার তালিকায় তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল। তখনও তিনি ভারতের বাসিন্দা হননি। তাহলে ১৯৮০ সালে তাঁর নাম ভোটার তালিকায় কীভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল? ১৯৮২ সালে ভোটার তালিকা থেকে সনিয়ার নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল, তবে এর পিছনের কারণও স্পষ্ট নয়। এই সব প্রশ্নগুলো তুলে সনিয়ার বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ আনেন ওই আইনজীবী। ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আবেদনও জানান।
অভিযোগকারী আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন, দিল্লি পুলিশ যেন সনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে এইআইআর করে ও তদন্তে নামে। আইনজীবী আদালতে আরও জানান, সনিয়া গান্ধী ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে নাগরিকত্ব অর্জন করেছিলেন। তবে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত এই আবেদন খারিজ করে দেয়। শুনানির পর তাদের তরফে বিচারপকি জানিয়ে দেন, তাঁরা এই মামলা গ্রহণ করবেন না।
এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় সনিয়ার বিরুদ্ধে একই দাবি করেছিলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি ১৯৮০ সালের ভোটার তালিকার অংশবিশেষের ফোটোকপি পোস্ট করে লিখেছিলেন। 'যদি এটাকে সরাসরি নির্বাচনী জালিয়াতি না বলা হয়, তবে আর কোনটাকে বলা হবে?'
তবে তার উত্তরে সেই সময় কংগ্রেস নেতা কংগ্রেস নেতা তারিক আনোয়ার বলেছিলেন, 'সনিয়া গান্ধী নিজের নাম ভোটার তালিকায় তুলতে কখনও আবেদন করেননি। সে সময়কার নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারাই নাম তুলেছিলেন।'