দিল্লির মসনদে এবার কে বসতে চলেছে, রাত পোহালেই তা স্পষ্ট হবে। দিল্লিতে এবার ক্ষমতায় আসতে পারে বিজেপি, এমন আভাস মিলেছে অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষায়। ক্ষমতাচ্যুত হতে পারে আপ সরকার। তবে ফল বেরোনোর আগে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গেল আপ শিবিরে। দিল্লির ৭০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫০টিতেই জয় নিশ্চিত বলে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে বৈঠকে রিপোর্ট দিলেন আপ বিধায়করা।
শুক্রবার কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে আজ ৭০ জন আপ প্রার্থীর বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা জানিয়েছেন দলের সিনিয়র সদস্য গোপাল রাই।
বৈঠকের পর গোপাল বলেন, 'আজ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে দলের ৭০ জন প্রার্থীর বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে সব প্রার্থী তাঁদের রিপোর্ট দিয়েছেন। ওই রিপোর্টে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে,দিল্লির ৫০টিরও বেশি আসনে নিশ্চিত জয় পেতে চলেছে আপ। ৭-৮ টি আসনে ক্লোজ ফাইট হতে চলেছে। দিল্লির জনগণ আবারও আম আদমি পার্টিকে সরকারে চায়।'
রাই বলেন, বিজেপি এক্সিট পোলের মাধ্যমে মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরি করে অপারেশন লোটাস চালানোর চেষ্টা করছে। আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং ভোট গণনার আগে বিজেপির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছিলেন যে,দিল্লিতে ফলাফলের আগেই অপারেশন লোটাস শুরু হয়েছে। অভিযোগ যে, আপের ৭ বিধায়ক ১৫ কোটি টাকার প্রস্তাব পেয়েছেন।
গত কয়েক বছরে দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির সরকারের দুর্নীতি নিয়ে সরগরম হতে দেখা গিয়েছে বিজেপিকে। আবগারি দুর্নীতি মামলায় জেলেও যেতে হয়েছে স্বয়ং কেজরিকে। জেলমুক্তির পর মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন কেজরিওয়াল। চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন, ফের জিতে মুখ্যমন্ত্রী হবেন। এই পরিস্থিতিতে এবার আপের কাছে দিল্লির লড়াই অন্যতম চ্যালেঞ্জিং। অন্য দিকে, দিল্লির কুর্সি দখলে মরিয়া পদ্ম শিবিরও। কংগ্রেস লড়াইয়ে থাকলেও এবার দিল্লি ভোটে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে একে অপরের মুখোমুখি আপ ও বিজেপি। দুই দলই ইস্তেহারে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বাজেটে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কোনও কর লাগবে না বলে যে ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে, তার আঁচ দিল্লি ভোটের ফলে পড়ে কি না, সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।