Advertisement

স্ত্রী-র উপর অত্যাচার না করলে স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক অপরাধ নয় : হাইকোর্ট

স্ত্রী-র মৃত্যুর জন্য স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে দায়ি করা যায় না। পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের। বিচারক জানান, যদি স্ত্রী-কে তাঁর স্বামী মানসিক ও শারীরিকভাবে অত্যাচার করেন, তবেই তাঁকে দোষী বলা যাবে।

Representative Photo Representative Photo
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 15 May 2025,
  • अपडेटेड 3:11 PM IST
  • স্ত্রী-র মৃত্যুর জন্য স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে দায়ি করা যায় না
  • পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের

স্ত্রী-র মৃত্যুর জন্য স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে দায়ি করা যায় না। পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের। বিচারক জানান, যদি স্ত্রী-কে তাঁর স্বামী মানসিক ও শারীরিকভাবে অত্যাচার করেন, তবেই তাঁকে দোষী বলা যাবে। 

মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টে মামলাটি ওঠে বিচারপতি সঞ্জীব নারুলার এজলাসে। ওই মামলায় হাইকোর্ট অভিযুক্তকে জামিন দেয়। তাঁকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮A/৩০৪B এবং ৩০৬ ধারার অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই ব্যক্তির স্ত্রীর মৃত্যু হয় বিয়ের প্রায় ৫ বছর পর। মায়ের বাড়িতে মারা যান তিনি। তারপরই গ্রেফতারি।  

কোর্টের পর্যবেক্ষণ, স্ত্রী-র অস্বাভাবিক মৃত্যু হলেই স্বামীর বিরুদ্ধে পণের জন্য চাপ দেওয়ার ধারায় মামলা রুজু করা যাবে না। সেজন্য যথাযথ প্রমাণ থাকতে হবে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেখা যায়, গৃহবধূর মৃত্যু হলেই তাঁর স্বামীর উপর এমন একাধিক ধারায় FIR করা হয় যেগুলো ঠিক নয়। 

আদালত জানায়, 'এই মামলায় যে সব তথ্য প্রমাণ মিলেছে তা থেকে মনে করা হচ্ছে, অভিযুক্ত বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তাঁর চ্যাট বা ভিডিও সেকথা প্রমাণ করে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, স্ত্রীর মৃত্যুর জন্য তিনিই দায়ি। মৃত মহিলার উপর যদি তাঁর স্বামী শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালাতেন তাহলে ব্যাপারটা অন্যরকম হত।' 

অভিযুক্ত ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে জেল হেফাজতে রয়েছেন। নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন করেও তিনি পাননি। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ঘটনার তদন্ত শেষ হওয়ার পরে একটি চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। তবে অদূর ভবিষ্যতে বিচার শেষ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।

সেজন্য ৫০,০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে ওই ব্যক্তিকে জামিনের নির্দেশ দেয় আদালত। ওই ব্যক্তির বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার বা তাঁর জামিনের ফলে তদন্ত প্রভাবিত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও মনে করেছেন বিচারপতি। 

Read more!
Advertisement
Advertisement