সময়ে মেট্রোর ভেতরে ঢুকতে না পারায় দরজা বন্ধ হয়ে যায়, একথা সকলেরই জানা। অনেকসময় মেট্রোয় ছুটে ঢুকতে গিয়ে দেখা যায় মুখের ওপর গেট বন্ধ হয়ে গেছে। আবার কখনও শেষমূহুর্তে মেট্রোয় ঢোকার পর দেখা যায় ব্যাগ বা জামাকাপড়ের অংশ আটকে গেছে দরজায়। কিন্তু সেরকমই ঘটনায় যে এক মহিলার মর্মান্তিক মৃত্যু হবে এমনটা হয়ত অনেকেই ভাবতে পারেননি। দিল্লির ইন্দ্রলোক মেট্রো স্টেশনের ঘটনা। রিনা নামে এক মহিলার শাড়ি ও ব্যাগ আটকে যায় মেট্রোর বন্ধ দরজায়। ওই অবস্থাতেই চলতে শুরু করে মেট্রো। ছিটকে পড়ে যান তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
৩৫ বছর বয়সী ওই মহিলা মেট্রোয় উঠে দেখেন, তাঁর মেয়ে উঠতে পারেনি। যেকারণে তিনি নেমে যাচ্ছিলেন। প্ল্যাটফর্ম আর মেট্রোর মাঝামাঝি অবস্থায় বন্ধ হয় মেট্রোর দরজা। তখন দরজায় আটকে তাঁর শাড়ি ও ব্যাগের অংশ। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার। দু'দিন পর মারা যান তিনি। ওই মহিলা যখন ইন্দ্রলোক মেট্রো স্টেশনে পৌঁছে ট্রেন পরিবর্তন করছিলেন, তখন তাঁর শাড়ি আটকে যায়। তিনি পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন।
জানা গেছে, মহিলার স্বামী প্রায় সাত বছর আগে মারা গেছেন। তাঁর একটি ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। যারা এখন অনাথ। মেট্রো রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার (CMRS) এই ঘটনার তদন্ত করবেন। দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি। ওই মহিলা আর্থালা যাওয়ার জন্য নাগলোই মেট্রো স্টেশন থেকে মেট্রোতে উঠেছিলেন।
তিনি যখন ইন্দ্রলোক স্টেশন থেকে রেড লাইন মেট্রো পরিবর্তন করছিলেন, তখন তার শাড়ি এবং ব্যাগ গেটে আটকে যায়। চলন্ত মেট্রো তাঁকে নিয়েই চলতে শুরু করে। চলন্ত মেট্রো টেনে হিঁচড়ে তাঁকে ট্র্যাকের মধ্যে ফেলে। এই দুর্ঘটনার পর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মেট্রো নিরাপত্তা আধিকারিকরা। তবে দিল্লির সবচেয়ে নিরাপদ এবং লাইফলাইন বলে বিবেচিত দিল্লি মেট্রোতে এমন দুর্ঘটনা ফের যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বলা হচ্ছে, মেট্রোতে যাতায়াতকারী লোকজন দীর্ঘক্ষণ চিৎকার শুরু করার পর মেট্রো বন্ধ হয়।