Mundka Fire Incident: দিল্লির মুন্ডকায় যে বিল্ডিংয়ে আগুন লেগেছিল, সেটিতে ছিল না নিরাপত্তা জনিত অনুমতি পত্র। এমনটাই জানিয়েছেন ফায়ার চিফ অফিসার অতুল গর্গ। তিনি আজ তক ও ইন্ডিয়া টুডেকে জানান, এই যে কারখানায় আগুন লাগে সেই কারখানাটি দমকল বিভাগ থেকে এনওসি পায়নি। আরও বলেন, মুন্ডকায় বেশিরভাগ কারখানাই এনওসি ছাড়াই চলছে। অর্থাৎ নিয়ম-কানুন মাথায় রেখেই সব কারখানা পরিচালিত হচ্ছে।
দিল্লির চিফ ফায়ার অফিসার অতুল গর্গ জানান, NOC-এর জন্য, MCD বা বিল্ডিং কর্তৃপক্ষ প্রথমে আমাদের কাছে একটি অঙ্কন পাথানো হয়েছিল। কিন্তু MCD তা আমাদের কাছে পাঠায়নি। MCD-র আমাদের কাছে NOC এর জন্য পাঠানো উচিত ছিল। তাঁর আরও দাবি, এখানকার বেশির ভাগ কারখানাই এভাবে চলছে।
মুন্ডকায় আগুন লাগার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগেও এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। যেখানে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল শনিবার সকালে মুন্ডকা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন। ঘটনাস্থল থেকে এখন পর্যন্ত ২৭টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, আর ১৯ জন নিখোঁজ বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেল ৪.৪৫ মিনিটে একটি অফিসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সম্পর্কে মুন্ডকা থানায় একটি পিসিআর কল আসে। ফোনের খবরে স্থানীয় পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লোকজনকে উদ্ধার করতে শুরু করে। পুলিশ অফিসাররা বিল্ডিংয়ের জানালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে বিল্ডিংটি তিন তলা। একটি বাণিজ্যিক ভবন যা সাধারণত কোম্পানিগুলিকে অফিসের জায়গা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।
দিল্লিতে এমন বড় দুর্ঘটনা ফিরে দেখা-
৮ ডিসেম্বর ২০১৯-এ রানি ঝাঁসি রোড আনাজ মান্ডিতে আগুন। কারখানা চালু থাকায় এতে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন অনেকে। এলাকা সংকীর্ণ হওয়ায় ফায়ার ব্রিগেড পৌঁছাতে সময় লাগে।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, করোলবাগের অর্পিত হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২১ জানুয়ারি, ২০১৮, বাওয়ানায় একটি আতশবাজি কারখানায় আগুনে ১৭ জন মারা যায়।
২০ নভেম্বর, ২০১১ নন্দনগরীতে কর্মসূচিতে আগুন লেগে ১৪ জনের মৃত্যু হয়।
১৯৯৭ সালের ১৩ জুন উপহার সিনেমায় অগ্নিকাণ্ডে ৫৯ জন মারা যান।