শুক্রবার সন্ধ্যায় আচমকা ধুলোঝড়, প্রবল দমকা হাওয়া ও বৃষ্টির দাপট দিল্লি-এনসিআর জুড়ে। গরম থেকে সাময়িক স্বস্তি এলেও একাধিক এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ভিডিওতে দিল্লি সংলগ্ন এলাকায় বিপর্যয়ের ছবি ধরা পড়েছে।
আবহাওয়ার হঠাৎ এই পরিবর্তনে রাজধানীর বিমানবন্দরে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। দিল্লি বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝড়ের কারণে ২০০-রও বেশি উড়ান দেরিতে ছাড়ে। অন্তত ২৫টি ফ্লাইট অন্য রুটে ডাইভার্ট করে দেওয়া হয়।
এর ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ে। ‘X’-এ একটি ভিডিও পোস্ট করে এক ব্যক্তি জানান, 'এটা এখন T3 টার্মিনালের অবস্থা। ৫ ঘণ্টা ধরে এমনটাই চলছে। যাত্রীদের জন্য এয়ার ইন্ডিয়া কোনও কর্মীই নেই। ফ্লাইটের আপডেটও পাওয়া যাচ্ছে না। ম্যানেজমেন্টের ব্যর্থতায় একটা অরাজকতার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।'
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজও হালকা বৃষ্টি ও বজ্রবিদ্যুৎ সহ দমকা হাওয়া বইতে পারে দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায়।
শহরের বিভিন্ন প্রান্তে গাছ পড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। ফিরোজ শাহ রোড, অশোকা রোড, মান্ডি হাউস, কনট প্লেস সহ একাধিক এলাকা থেকে প্রায় ২০টি গাছ পড়ার খবর মিলেছে।
এনডিএমসি জানিয়েছে, কনট প্লেস, জোরবাগ, প্যাটেল মার্গ, সরদার প্যাটেল মার্গে গাছ পড়েছে। অন্যদিকে, কালকাজি ও শাহদারা সহ আরও কিছু এলাকা থেকেও এমসিডির কাছে গাছ পড়ার খবর মিলেছে।
উত্তর দিল্লির নরেলা, বাওয়ানা, বাদলি ও মঙ্গোলপুরি এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে গাছের ডাল ও অন্যান্য বস্তু বিদ্যুৎ লাইনে পড়ে যাওয়ায়। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সক্রিয় ভূমিকা নেয় BSES ও TPDDL-এর টিম। বেশিরভাগ এলাকায় দ্রুত বিদ্যুৎ পরিষেবা ফিরিয়ে আনা হয়।
ITO এলাকায় একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে যাওয়ার কারণে যানজটে ভোগান্তি হয়।
আবহাওয়া দফতর ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করেছে। আবহাওয়া অফিসের ভাষায়, এই সতর্কতা মানে হল ‘প্রস্তুত থাকুন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন’।
দিনের শুরুতে রোদ থাকলেও সন্ধ্যায় হঠাৎ মেঘে ঢেকে যায় দিল্লির আকাশ। এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আগের দিনের ৩৯.৬ ডিগ্রির তুলনায় অনেকটাই কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.৮ ডিগ্রি। আদ্রতা ছিল ৬১ থেকে ৬৯ শতাংশের মধ্যে।
শনিবারেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স কিছুটা উন্নত হয়েছে। CPCB-র ৪টে পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী, AQI ১৬৪ রেকর্ড হয়েছে, যা ‘দুর্বল’ স্তর থেকে কিছুটা উন্নত হয়ে ‘মধ্যম’ পর্যায়ে পৌঁছেছে।