হিন্দুরা অনেক সহনশীল। তাই তাঁদের সেই প্রশংসা প্রাপ্য। বৃহস্পতিবার এমনটাই বললেন কবি এবং গীতিকার জাভেদ আখতার। এর আগে তাঁর বিভিন্ন মন্তব্যের জেরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। এবার তাঁর গলায় শোনা গেল হিন্দুত্বের প্রশংসা। তিনি বলেন, 'হিন্দু সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের কারণে ভারতে গণতন্ত্র রয়েছে।'
সমাজে অসহিষ্ণুতা বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাভেদ আখতার বলেন, হিন্দুরা উদার ও বড় মনের। 'কিছু লোক আছে যারা বরাবরই অসহিষ্ণু ছিল। হিন্দুরা এমন নয়। তাদের বড় গুণ রয়েছে - ওরা অনেক উদার এবং বড় মনের। এটি হারাবেন না, অন্যথায় আপনারাও অন্যদের মতো হয়ে যাবেন,' বলেন প্রবীণ বুদ্ধিজীবী। মুম্বইয়ে রাজ ঠাকরের মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার (এমএনএস) আয়োজিত দীপাবলীর অনুষ্ঠানের মঞ্চে এই মন্তব্য করেন তিনি।
ভারতের মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রগতিশীল ও উদারনীতির প্রচারকারী হিসাবে জাভেদ আখতার অন্যতম। এবারেও তাঁর গলায় হিন্দুদের থেকে 'শেখার' বার্তা। তিনি বলেন, 'আমরা হিন্দুদের জীবনযাপনের পদ্ধতি থেকে শিখেছি। সেটা কি বাদ দেওয়া যায়?'
জাভেদ আখতার আরও বলেন, ভগবান রাম ও সীতার দেশে জন্ম হওয়ায় তিনি গর্বিত। নাস্তিক হয়েও তিনি রাম-সীতাকে এদেশের সম্পদ মনে করেন।
'রামায়ণ আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য,' বলেন প্রবীণ কবি।। অনুষ্ঠানে 'জয় সিয়া রাম'ও বলে ওঠেন জাভেদ।
মত প্রকাশের স্বাধীনতার অবক্ষয় নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। ব্লকবাস্টার সিনেমা 'শোলে'র উদাহরণ দিয়ে জাভেদ আখতার বলেন, 'আজ যদি ছবিটি তৈরি হত, তাহলে মন্দিরে হেমা মালিনী এবং ধর্মেন্দ্রের সংলাপ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হত।'
'হিন্দু সংস্কৃতি এবং সভ্যতা। এটা আমাদের গণতান্ত্রিক মনোভাব শিখিয়েছে। সেই কারণেই এই দেশে গণতন্ত্র আছে। হিন্দুরা কখনই এমনটা ভাবে না যে আমরাই খালি ঠিক, আর বাকি সবাই ভুল। যদি তোমাদের কেউ এমনটা শিখিয়ে থাকে, তাহলে সে ভুল শিখিয়েছে,' বলেন জাভেদ আখতার।