কর্নাটকের ধর্মস্থলকে ঘিরে চলা গণকবর তদন্তে এক চাঞ্চল্যকর মোড় এসেছে। তদন্তকারীরা আংশিক কঙ্কালের দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে, যা এই মামলায় প্রথম কোনও জৈব-প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কঙ্কালটি সম্ভবত একজন পুরুষের।
এই মামলার মূল হুইসেলব্লোয়ারের দাবি অনুযায়ী, ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে মন্দির নগরীতে একাধিক নারী ও নাবালককে হত্যা করে কবর দেওয়া বা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে অনেকের শরীরে যৌন নির্যাতনের চিহ্ন ছিল। এই প্রেক্ষিতে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) ওই এলাকায় তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফরেনসিক দল দেহাবশেষগুলি পরীক্ষার জন্য সংরক্ষণ করেছে। তদন্তে আরও সহায়তার জন্য কুকুর বাহিনী আনা হয়েছে। সময়ের ব্যবধান এবং আবহাওয়ার প্রভাবের কারণে দেহাবশেষ এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে থাকতে পারে, সেই আশঙ্কায় খনন কাজ সম্প্রসারিত করা হয়েছে।
তথ্যদাতার দাবি অনুযায়ী, ওই নির্দিষ্ট স্থানে দুটি মৃতদেহ পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। এখন সেই দিকেই নজর দিচ্ছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, কঙ্কালটি বেশ ক্ষয়ে যাওয়া অবস্থায় ছিল এবং ঘটনাস্থল থেকে দড়ি, পোশাক, একটি প্রিন্টার ও একটি ল্যাপটপও উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার পর্যন্ত চিহ্নিত পাঁচটি জায়গায় খনন করেও কোনও মানবদেহের প্রমাণ মেলেনি। প্রথম স্থানটি নেত্রাবতী নদীর তীরে হলেও সেখানে জেসিবি দিয়ে গভীর খুঁড়েও কিছুই মেলেনি।
তদন্তকারীদের ওখানকার একসময়ের সাফাইকর্মী মোট ১৫টি সন্দেহজনক জায়গার কথা জানিয়েছেন। এর মধ্যে আটটি নেত্রাবতী নদীর তীরে, আরও চারটি নদীর ধারে হাইরোডের পাশে, একটি স্থান আজুকুরি সংযোগকারী রাস্তায় এবং বাকি দুটি কন্যাদি এলাকায়। ষষ্ঠ স্থান থেকে উদ্ধার হওয়া কঙ্কালের দেহাবশেষ তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।