Advertisement

India Pakistan Ceasefire: ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ থামিয়েছেন ট্রাম্প? অভিষেক-থারুরদের প্রশ্নের জবাব মিস্রির

ভারত এবং পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনও ভূমিকাই ছিল না। এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। সংসদীয় কমিটির বৈঠকে শশী থারুর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের প্রশ্নের উত্তরে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করলেন তিনি।

India Pakistan Ceasefire India Pakistan Ceasefire
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 20 May 2025,
  • अपडेटेड 8:47 AM IST
  • ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতিতে ট্রাম্পের ভূমিকা কী ছিল?
  • সংসদীয় কমিটির বৈঠকে জবাব বিক্রম মিস্রির
  • উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে কী ভূমিকা ছিল আমেরিকার? সোমবার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। সামরিক পদক্ষেপ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই হয়েছে বলে স্পষ্ট করেন তিনি। 

সংঘর্ষবিরতির কথা প্রথম ঘোষণা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারত এবং পাকিস্তানের তরফে আনুষ্ঠানিক সংঘর্ষবিরতির ঘোষণায় তাঁর নাম উল্লেখ না থাকা সত্ত্বেও বারাবর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সমঝোতার কারিগর হিসেবে নিজেকেই তুলে ধরেছেন। এই নিয়ে কেন্দ্রকে প্রশ্ন করে বিরোধী দলগুলি। সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন হয়। তখনই বিক্রম মিস্রি কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট করেন বলে সূত্রের খবর। 

সংসদীয় কমিটির এক সদস্য প্রশ্ন করেছিলেন, 'অন্তত ৭ বার প্রকাশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি সম্ভব হয়েছে তাঁরই জন্য। ভারত চুপ কেন?' অন্য এক সদস্যের বক্তব্য, 'কেন ভারত ট্রাম্পকে বারবার এই ন্যারাটিভ তৈরি করতে অনুমতি দিচ্ছে? কেন তিনি একটানা কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলছেন?'

সূত্রের খবর, এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরে বিদেশ সচিব স্পষ্ট ভাবে জানান, ভারত এবং পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতি দ্বিপাক্ষিক সিদ্ধান্ত। এতে কোনও তৃতীয় পক্ষের কোনও ভূমিকা নেই। একইসঙ্গে বিক্রম মিস্রি আরও জানিয়েছেন, পাকিস্তানের তরফে কোনও নিউক্লিয়ার সিগনাল দেওয়া হয়নি। ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে এমন কোনও হুঁশিয়ারি কিংবা পরমাণু যুদ্ধের কোনও ইঙ্গিতে দেওয়া হয়নি। দুই দেশের DGMO আলোচনার মাধ্যমে সংঘর্ষিবিরতিতে সায় দেন গত ১০ মে। 

পাকিস্তানের সঙ্গে এই সংঘর্ষ দেশের কতগুলি যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে? এর উত্তরে জাতীয় সুরক্ষার বিষয় জানিয়ে নীরব ছিলেন বিক্রম মিস্রি।

এদিকে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে এক ভিডিও ক্লিপে বলতে শোনা গিয়েছিল, 'অভিযানের শুরুতেই আমরা পাকিস্তানকে একটি বার্তা দিয়েছিলাম, জানিয়ে দিই যে আমরা সন্ত্রাসী শিবিরে হামলা করছি।' এই বক্তব্য ঘিরে উত্তাল হয় রাজনীতি।লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী একে 'অপরাধ' বলে কটাক্ষ করেন। তিনি এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে প্রশ্ন তোলেন, 'কে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে? এর ফলে আমাদের বিমানবাহিনী কতটি বিমান হারিয়েছে?' বিদেশ সচিব কমিটিকে জানান, বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, 'অপারেশনের শুরুতে নয়, সুনির্দিষ্ট আঘাতের পর পাকিস্তানকে জানানো হয়েছিল।' 

Advertisement

সংসদীয় এই কমিটির বৈঠকে বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর, রাজীব শুক্লা, দীপেন্দর হুডা, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, AIMIM সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এবং BJP সাংসদ অপরাজিতা সারঙ্গি এবং অরুণ গোভিল। 

 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement