
ফরিদাবাদে সম্প্রতি শাহিন গ্রেফতার হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদ (JeM)-এর সঙ্গে যুক্ত 'হোয়াইট-কলার' জঙ্গি মডিউলের সঙ্গে জড়িত ছিল। তদন্তে জানা গেছে, শাহিন একটি ভুয়ো ঠিকানা ব্যবহার করে সিম কার্ড সংগ্রহ করেছিল। তিনি আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় হোস্টেলে থাকাকালীন হরিয়ানার ধৌজের একটি মসজিদের ঠিকানা ব্যবহার করেছিল, যা তার প্রধান নম্বর হিসেবে ব্যবহৃত হত।
শাহিন লখনউতে তার বাবার ঠিকানা উল্লেখ না করে তার ভাই পারভেজ আনসারির ঠিকানা দিয়েছিল। পারভেজকে পরে লখনউতে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে।
তদন্তে দেখা গেছে, ২০১৩ সালে কানপুরে চাকরি ছাড়ার পর সে অল্প সময়ের জন্য থাইল্যান্ডে গিয়েছিল। আরও জানা গেছে, দুমাস আগে শাহিন তার ভাই পারভেজের সঙ্গে লখনউ সফর করে এবং পরে একসঙ্গে কানপুর যায়। এই গতিবিধি এখন উত্তরপ্রদেশ সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড এবং গোয়েন্দা সংস্থার নজরে রয়েছে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, শাহিনকে ভারতের জইশ-ই-মোহাম্মদের মহিলা শাখা প্রতিষ্ঠা ও নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তার কর্মকাণ্ড ছিল দেশে মহিলা-নেতৃত্বাধীন মৌলবাদী নেটওয়ার্ক তৈরি করা।
তদন্তকারী সংস্থা ধারণা করছে, ডঃ শাহিন সরাসরি জইশের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের বোন সাদিয়া আজহারের কাছ থেকে দায়িত্ব পেয়েছিল। সাদিয়ার স্বামী ইউসুফ আজহার ১৯৯৯ সালের কান্দাহার ছিনতাইয়ের অন্যতম পরিকল্পনাকারী ছিল এবং চলতি বছরের শুরুতে বাহাওয়ালপুরে নিহত হয়েছেন।
পারভেজ আনসারি, লখনউ-এর ইন্টিগ্রাল ইউনিভার্সিটিতে সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার হিসেবে কর্মরত, ডঃ শাহিন গ্রেফতারের পর শহর ছাড়ার চেষ্টা করেছিল। তবে তাকে আটক করা হয়েছে। ১২ নভেম্বর তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ছটি মোবাইল ফোন, তিনটি ছুরি, একটি আন্তর্জাতিক কলিং কার্ড এবং অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে, যা এখন ফরেনসিক পরীক্ষাধীন।