দুর্গাপুজো বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ উৎসব হলেও তা আর কেবলমাত্র বাংলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এ রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে ঝাড়খণ্ডেও সাড়ম্বরে উদযাপিত হয় শারদোৎসব। রাজধানী শহর রাঁচিতেও চলছে থিমের পুজো। এবার রাঁচির একটি পুজো মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে ভ্যাটিকান সিটির আদলে। আর তাই নিয়েই যত বিবাদ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এই পুজো প্যান্ডেল নিয়ে আপত্তি তুলেছে। তাদের অভিযোগ, এই থিম হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিক্ষোভ
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় মুখপাত্র বিনোদ বনসল বলেন, 'এই দুর্গাপুজো প্যান্ডেলে খ্রিষ্ট ধর্মের চিহ্ন রয়েছে। মণ্ডপের ভিতরে মাদার মেরি এবং খ্রিষ্ট ধর্মের অন্যান্য চরিত্রের ছবিও রয়েছে। বিষয়টি ধর্মান্তকরণে উস্কানি দিচ্ছে। হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে।'
বিনোদ বনসল আরও বলেন, 'আয়োজকদের যদি এতই ধর্মনিরপেক্ষতা দেখাতে হত তবে গির্জা কিংবা মাদ্রাসাতে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও হিন্দু দেবদেবীদের ছবি টাঙিয়ে আসুক।' অবিলম্বে এই পুজো মণ্ডপ থেকে খ্রিষ্ট ধর্মের সমস্ত চিহ্ন মুছে ফেলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
কী বলছে পুজো কমিটি?
পুজো কমিটি ধর্মান্তকরণে উস্কানি এবং ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রাঁচির আরআর স্পোর্টিং ক্লাবের অধ্যক্ষ ভিক্কি যাদব বলেন, 'গত ৫০ বছর ধরে দুর্গাপুজো করছি আমরা। প্রত্যেক বছর আলাদা আলাদা থিম হয় আমাদের। এবার আমরা কলকাতার শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের ২০২২ সালের থিমের অনুকরণে নিজেদের মণ্ডপ তৈরি করেছি। কলকাতায় সে বছর অসংখ্য মানুষের ভিড় জমেছিল শ্রীভূমির প্যান্ডেলে। সকলেই এই মণ্ডপের প্রশংসা করেছিলেন। কারও ভাবাবেগে আঘাত করার কোনও অভিপ্রায় আমাদের নেই। বৈদিক পরম্পরা মেনেই আমাদের মণ্ডপে দুর্গাপুজো হচ্ছে।' একইসঙ্গে পুজো উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, 'আমরা ধর্মনিরপেক্ষ দেশে বাস করি। দুর্গাপুজোয় সব ধর্মের মানুষ অংশগ্রহণ করেন। শিল্পকলার দিক থেকে বিচার করে ভ্যাটিকান সিটি আদলে প্যান্ডেল তৈরি করেছি এবার।'