রবিবার বিকেলে কেঁপে উঠল উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। তবে খালি উত্তরবঙ্গ নয়, ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে অসমেও। রবিবার বিকেল ৪টে ৪১ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৮। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল অসমের গুয়াহাটি এবং তেজপুরের মাঝে ঢেকিয়াজুলি নামে একটি জায়গা।
অসমের ওই ভূমিকম্পের জেরে কোচবিহার-সহ গোটা উত্তরবঙ্গে কম্পন অনুভূত হয়েছে। মৃদু কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গেও। খালি উত্তর-পূর্ব ভারত নয়, কম্পন অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানেও।
অসম সরকারের আধিকারিক জানিয়েছেন, তাৎক্ষণিকভাবে কোনও প্রাণহানি বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। রবিবার বিকেল ৪.৪১ মিনিটে এই ভূমিকম্পটি ঘটে এবং এর কেন্দ্রস্থল ছিল উদালগুড়ি জেলায়। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ৫ কিলোমিটার। এখনও পর্যন্ত কোনও বড় রকম দুর্ঘটনার ঘটনা অসমে ঘটেনি। ভূমিকম্পের সারফেস ওয়েভ অনুভূত হয়েছে বাংলাজুড়ে। সবচেয়ে বেশি টের পাওয়া গিয়েছে উত্তরবঙ্গে। হঠাৎই কেঁপে উঠেছে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং-সহ একাধিক জেলা। কম্পন অনুভূত হয়েছে কলকাতাতেও।
ভূমিকম্পের কম্পন ভুটানেও অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের সময় বাড়ির পাখা, বিদ্যুৎ কাঁপতে থাকে। ভূমিকম্পের ফলে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। প্রশাসন পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।
ভূমিকম্পের কম্পন অনুভব করার পর, অসমের মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে অসমের শোণিতপুরে ৩.২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। অসমের এই অঞ্চলটি ভূমিকম্প সংবেদনশীল অঞ্চলে পড়ে। এটি পূর্ব হিমালয় পর্বতমালায় ইউরেশিয়ান এবং সুন্দা প্লেটের সংঘর্ষস্থলে অবস্থিত।