শনিবার আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্ত অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বিস্তীর্ণ এলাকা। কম্পন অনুভূত হল কাশ্মীরেও। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৯। ভারতীয় সময় বেলা ১২টা ১৭ নাগাদ (গ্রিনিচ ০৬:৪৭:৫৫) ভূমিকম্প হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্পের এপিসেন্টার ভূপৃষ্ঠ থেকে ৮৬ কিমি গভীরে। ভৌগোলিক অবস্থান ৭১.৩৮° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ ও ৩৬.১৩° উত্তর অক্ষাংশ। কম্পনের কেন্দ্র মূলত আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্ত অঞ্চলেই।
আফগানিস্তানের উত্তরাংশ এবং ভারতের কাশ্মীর উপত্যকা পর্যন্ত এই কম্পনের প্রভাব অনুভূত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কম্পন অনুভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্কে বহু মানুষ ঘর থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন।
তবে এখনও পর্যন্ত কোনও বড় ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন এবং ভূকম্পন গবেষণা সংস্থাগুলি পরিস্থিতি নজরে রাখছে। এমনিতেও এই সীমান্ত অঞ্চল ভূমিকম্পপ্রবণ হিসেবে পরিচিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এত কম গভীরতায় ভূমিকম্প উৎপন্ন হলে সাধারণত বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে কম্পন অনুভূত হয়। তবে এমন ক্ষেত্রে ভূপৃষ্ঠে তুলনামূলকভাবে কম ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে তা সত্ত্বেও সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
রিখটার স্কেল অনুযায়ী ভূমিকম্পের তীব্রতা:
রিখটার স্কেলে মাত্রা (Magnitude) | প্রভাব |
---|---|
১.০ – ৩.০ | খুবই হালকা, মানুষ টের পায় না |
৩.১ – ৪.০ | হালকা কম্পন, অনেক সময় টের পাওয়া যায় |
৪.১ – ৫.০ | মাঝারি, জানালার কাঁচ কাঁপতে পারে |
৫.১ – ৬.০ | অনুভব করা যায়, অল্প ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে |
৬.১ – ৭.০ | বেশ শক্তিশালী, বাড়ি-বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে |
৭.১ – ৮.০ | বিপজ্জনক, বড় ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা |
৮.১ বা তার বেশি | মহাবিপর্যয়, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি |
সাধারণত ৬.০ মাত্রার উপরের ভূমিকম্পই বিপজ্জনক। তবে শুধু রিখটার স্কেলের মাত্রাই নয়। এপিসেন্টার যদি লোকালয় বা জনবসতিপূর্ণ অঞ্চলের কাছাকাছি হয় সেক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতি বাড়ে। এর পাশাপাশি ভূপৃষ্ঠ থেকে কম গভীরতায় এপিসেন্টার থাকলে, কম মাত্রার ভূমিকম্পেও কম্পন বেশি হয়।