ঘড়ির কাঁটায় তখন ১০.৩০ ছুঁইছুঁই। হঠাৎই প্রবল কম্পন। অনভ্যস্ত স্বাভাবিক জীবনে নেমে এল সেই ভয়ঙ্কর রাত। জম্মু-কাশ্মীর, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব- ভূমিকম্পে কাঁপন লাগল উত্তর ভারতের এই সব এলাকাগুলিতে। রীতিমতো শক্তিশালী কম্পনের জেরে বাড়ি ছেড়ে ঠান্ডার মধ্যে রাস্তাতে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে উত্তর ভারতবাসী।
প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারা না গেলেও, পরবর্তীতে জানা যায় এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল তাজাকিস্তান। আফগানিস্তানের ফয়জাবাদ থেকে ২৮৫ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে এই কম্পনের কেন্দ্রস্থল। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৩। সেভাবে ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও মেলেনি। তাজাকিস্তান-জিনজিয়াং সীমান্তে মাটি থেকে ৯১ কিমি গভীরে কম্পন হয়, এমনটাই জানিয়েছে, ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি।
শুক্রবার রাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল ভূমিকম্পের পর দিল্লিবাসীর জন্য আশ্বাস দিয়ে বলেন, দিল্লিতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সকলের সুরক্ষার জন্য প্রার্থনা করছি। অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেন, ২০০৫ সালের পর এরকম ভূমিকম্প অনুভব করিনি। ঘর কাঁপতেই চাদর চাপিয়ে দৌড়ে বাইরে বেরিয়ে এসেছেন তিনি।
হরিয়ানার গুরুগ্রামের এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, "এবারের ভূমিকম্পটি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি সময় ধরে স্থায়ী ছিল। এর তীব্রতাও বেশি মাত্রায় ছিল। এর আগেও ১০ থেকে ১২ বার ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা হয়েছে। কিন্তু এটার ভয়বহতা বেশি লেগেছে।"
ভূমিকম্পের পর থেকেই সোশাল মিডিয়ায় সেই সময়টিকে ভিডিও করে তুলে পোস্ট করা হয়েছে। কোথাও দেখা যাচ্ছে ঝাড়বাতি দুলছে প্রবল বেগে। কোথাও আবার সিলিং ফ্যানের দৃশ্য ফ্রেমবন্দি হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের ওই হিমশীতল রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় নেমে আসার দৃশ্যও পোস্ট করা হয়েছে।