জয়পুরের এক ফাইভস্টার হোটেলে আয়োজন করা হয়েছিল জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠান। ব্যান্ড বাজছিল, নাচছিলেন বরযাত্রীরা, সাজানো ছিল মণ্ডপ। বর ও কনে বসেছিলেন সাত পাকে বাঁধা পড়তে। ঠিক তখনই মণ্ডপে ঘটে যায় অপ্রত্যাশিত ঘটনা—মন্ত্রপাঠ শুরু হতেই বর উঠে দাঁড়িয়ে পালিয়ে যায়। হতবাক কনে ও অতিথিরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেখানে হাজির হয় ইডি (ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট)-এর দল।
জানা গেছে, এই বিয়ের বর সৌরভ আহুজা, যিনি ‘মহাদেব বেটিং অ্যাপ’ কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত এবং বর্তমানে পলাতক। ইডি গোপন সূত্রে খবর পায় যে, জয়পুরে একটি হোটেলে গোপনে বিয়ে করতে এসেছে অভিযুক্ত। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ইডি অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয়। মূল পরিকল্পনা ছিল বিয়ের পর সৌরভকে গ্রেফতার করা, কিন্তু ইঙ্গিত পেয়ে যাওয়ায় সৌরভ মাঝপথেই মণ্ডপ ছেড়ে পালিয়ে যায়।
ইডির তল্লাশি চালানোর ফলে অনুষ্ঠানে থাকা কনে, অতিথি ও পরিবারের সদস্যরা হতবাক হয়ে যান। তদন্তকারীরা পরে কনেকে এবং বর ও কনের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। যদিও সৌরভ ধরা না পড়লেও, একই মামলার তিন অভিযুক্ত প্রণবেন্দ্রসহ আরও দুজনকে গ্রেফতার করে ইডি। পরে তাঁদের বিমানে করে রায়পুর নিয়ে যাওয়া হয়।
সূত্রের দাবি, ভোপালের বাসিন্দা সৌরভ আহুজার পরিবারের সদস্যরা দুবাই থেকে রায়পুর হয়ে জয়পুরে আসেন এবং বিয়ের যাবতীয় আয়োজন করে দেন। এই তথ্যের ভিত্তিতে রায়পুরের ইডি টিম নজরদারি শুরু করে। বিয়ের দিনে জয়পুরে হোটেল ফেয়ারমাউন্টে অভিযান চালায় তাঁরা। যদিও বর তখনই সটকে পড়ে, কিন্তু গোটা ঘটনার পর্দা ফাঁস হয়ে যায় ইডির উপস্থিতিতে।